এক বছরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল ব্যাপকভাবে বেড়েছে: জামান মোল্লা

ঢাকা ১৭ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কামাল জামান মোল্লা বলেছেন, দেশে মব সৃষ্টি, চাঁদাবাজি, দখল, সন্ত্রাস গত এক বছরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু মানুষের প্রত্যাশা ছিল, স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হলে, স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলে, শেখ হাসিনাকে বিদায় করা সম্ভব হলে মানুষ একটু শান্তিতে থাকবে।
শনিবার বিকালে মিরপুর ১৪ থেকে ইসিবি চত্ত্বর পর্যন্ত তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ বাস্তবায়নে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল জামান মোল্লা বলেন,
এই মূহুর্তে দেশে শান্তি তো দূরে থাক, এখন বিভেদ, মুসিবত নিয়ে মানুষকে বসবাস করতে হয়। চাকরি নাই। যাদের চাকরি ছিল, সেই চাকরিও এখন রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটে কখন কে বিপদে পড়বে, এটা আল্লাহ পাক ছাড়া আর কেউ জানে না।
তিনি বলেন, দিনের বেলায় নির্জন রাস্তায় যেকোনো সময় ভয়ংকর ব্যক্তি হাজির হয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ তার দায়িত্ব কি সঠিকভাবে পালন করছে?
তিনি আরও বলেন, তাদের (পুলিশের) আবার আরেকটি বক্তব্য আছে, তাদের উপর নাকি ছাত্র জনতা অত্যাচার করেছিল। তাদেরও বুঝতে হবে, ১৫ বছর ধরে তারা বিগত সরকারকে যেভাবে সহায়তা করেছে, ছাত্র জনতাকে গুলি করেছে, এটা ঠিক হয়নি। তাদের নিজেদের সংশোধন হতে হবে, কারণ দেশটা আমাদের সবার। দেশের বালা-মুসিবত থেকে মুক্তির যে পথ, সেটি হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। তাহলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশের অবস্থা খুব ভালো বলা যাবে না। এর চেয়ে বেশি খারাপ না হোক, বরং উত্তরণের পথ সরকার গ্রহণ করবে। সেটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে—এটা আমরা আশা করি, প্রত্যাশা করি। কারণ আমরা জানি, যারা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, গুম হয়েছে, নির্যাতন ভোগ করেছে, রক্ত দিয়েছে, ১৬ বছরে বিএনপির প্রায় ৫ হাজার শহীদ হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে। তাদের সবারই চাওয়া দেশ সুষ্ঠুভাবে চলুক, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। আর এই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার—এইটাই সরকারের মনে রাখতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/জেবি)

মন্তব্য করুন