বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সরবে না: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৪:২৫ | প্রকাশিত : ২৩ মার্চ ২০১৭, ১৪:১৫

উগ্রবাদী সংগঠনগুলো দাবি তুললেও ভারতের কলকতার মৌলানা আজাদ কলেজের বেকার হোস্টেল থেকে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য সরানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের দুই বাংলার প্রেরণা। তাঁর ভাস্কর্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত ১৭ মার্চ বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর‌্যাদায় উদযাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পর ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে ভাস্কর্যের স্বীকৃতি নেই। হোস্টেলের ভেতর কোনো ইসলামবিরোধী কাঠামো গড়া অন্যায়।’

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে কলকতার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘ঐতিহ্যের কোনো ইজারা হয় না। বঙ্গবন্ধু দুই বাংলার কাছেই শ্রদ্ধেয়, স্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের প্রেরণা। তাঁর স্মৃতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সংরক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য। এর কোনো রকম বিরোধিতা বরদাশত করা হবে না। কেউ প্রতিরোধ তৈরি করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় কলকাতার তালতলায় এই বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৬ সালে কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। ইসলামিয়া কলেজের নাম পাল্টে এখন নামকরণ করা হয়েছে মৌলনা আজাদ কলেজ।

১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়ে তোলা হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন। ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের সে সময়ের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সত্যসাধন চক্রবর্তী।

ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :