শুল্ক গোয়েন্দায় জিজ্ঞাসাবাদে যেতেই হচ্ছে রেইনট্রি মালিককে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ মে ২০১৭, ১৯:১০ | প্রকাশিত : ২২ মে ২০১৭, ১৬:৩৮

অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ নিয়ে শুল্প গোয়েন্দা অধিদপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতেই হচ্ছে বনানীর আলোচিত হোটেল রেইনট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো আদনান হারুনকে। মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে হাইকোর্টে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তার আবেদন গ্রহণ করে শুল্প গোয়েন্দা অধিদপ্তরের নোটিশের কার্যকারিরা স্থগিত করে দিয়েছিল। পরে সে আদেশ স্থগিত করে দেয় চেম্বার আদালত।

সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রেইনট্রির মালিকের আবেদন গ্রহণ করার ঘণ্টা দুয়েক পরই চেম্বার আদালতের বিচারক বিচারপতি মীর্জা হোসেন হায়দার সে আদেশ স্থগিত করে দেন। ফলে ঝালকাঠির আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের ছেলে আদনান হারুণকে মঙ্গলবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হতেই হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এই তথ্য ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রেইনট্রি হোটেলের এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে তার হোটেলে পাওয়া মদের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এতে ১৬ মে অধিদপ্তরে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু আদনান হারুন সেদিন অসুস্থতার কথা বলে হাজির হননি। পরে তার সময়ের আবেদন বিবেচনা করে ২৩ মে হাজির থাকতে বলা হয়।

হাজিরার নির্ধারিত দিনের আগের দিন শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ ঠেকাতে হাইকোর্টে রিট করেন রেইনট্রির এমডি শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুন। তার আবেদনের পর বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের নোটিশ এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেন। আবার এই নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, নেই বিষয়ে রুলও জারি করা হয়।

হাইকোর্ট বেঞ্চের এই আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি নিয়ে যায় চেম্বার বিচারপতির কাছে। আর শুনানি শেষে তিনি হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেন।

গত ৬ মে বনানী থানায় করা এক মামলায় এক তরুণী অভিযোগ করেন গত ২৮ মার্চ তাদেরকে জন্মদিনের দাওয়াতে আমন্ত্রণ দিয়ে হোটেল রেইনট্রিতে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদকে প্রধান আসামি করে মোট পাঁচ জনকে আসামি করা হয় এই মামলায়। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এরই মধ্যে এবং তিন জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

এই মামলার পর হোটেল রেইনট্রির নানা অনিয়মও বের হয়ে আসে। বনানী কে-ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর প্লটে অবস্থিত রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই হোটেলটি স্থাপন করা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আবার অনুমোদন না থাকলেও সেখানে মদ বিক্রির অভিযোগও এসেছে। গত ১৩ মে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে কোনো মদ না পেলেও পরদিন শুল্ক গোয়েন্দারা পরদিন একটি পক্ষ থেকে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করে।

হোটেলটিতে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগও আছে। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও কোনো অর্থ পরিশোধ না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ আট লাখ ১৫ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলেও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অভিযোগ। এ বিষয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।

ঢাকাটাইমস/২২মে/এমবি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :