নন্দীগ্রামে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৯টি বিদ্যালয়

মুনিরুজ্জামান মুনির, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে
| আপডেট : ২৩ মে ২০১৭, ১১:০০ | প্রকাশিত : ২৩ মে ২০১৭, ১০:৫৭

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে প্রসাশনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে করে স্কুলের প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তার চেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে শ্রেণিতে পাঠদানের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদোন্নতি ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ না হওয়ায় এ সমস্য দেখা দিয়েছে। তবে খুব দ্রুত সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে শূন্য পদ পুরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

বর্তমানে কুচমা, বনগ্রাম, গুলিয়াকৃষ্ণপুর, পেং বনারপাড়া, হাজারকি মাঝি পাড়া, দাসগ্রাম, পেংহাজারকি, বিষ্ণুপুর, ভাগবজরসহ ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

পেং বনারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন শামিমা আক্তার। তিনি বলেন, প্রশাসনিক কাজে প্রায় সময় উপজেলা সদরে যেতে হয়। এতে বিদ্যালয়ের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হয়। শিশুরাও লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে।

গুলিয়া কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কিন্তু এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রশাসনিক কাজে নিয়মিত উপজেলায় যাওয়া-আসা, বিদ্যালয়ের রুটিন তদারকসহ শ্রেণির কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হয়।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, উপজেলায় মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০২টি এর মধ্য ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। নিয়োগ ও পদোন্নতি না হওয়ার কারণে শূন্যপদগুলো পুরণ হচ্ছে না। এই উপজেলার চাহিদা কর্তৃপক্ষকে দেয়া আছে। তাছাড়া পদোন্নতির তালিকাও পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হলেই শূন্য পদ পূরণ হবে। শূন্যপদগুলো পূরণ হলে শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নেয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :