ভোলায় বেড়েছে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা
১৯৯৮ সালে সরকার বাংলাদেশকে ‘কুষ্ঠরোগমুক্ত’ ঘোষণা করলেও এখনো কুষ্ঠমুক্ত হয়নি দেশ। এর ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলাকেও ঘোষণা করা হয় কুষ্ঠমুক্ত জেলা। কিন্তু এ জেলায় গত কয়েক বছর ধরে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত এক বছরে ভোলায় ছয়জন কুষ্ঠ রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা বর্তমানে ভোলা ও ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানায় কুষ্ঠরোগ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন হিড বাংলাদেশ।
রবিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কুষ্ঠরোগ বিষয়ক ওয়ারিয়ান্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন তারা।
হিড বাংলাদেশের আয়োজনে দি-লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় সভায় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় আয়োজকরা আরও বলেন, কুষ্ঠ একটি মৃদু সংক্রামক ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যাকটেরিয়া রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি নিয়মিত ওষুধ আর চিকিৎসা নিলে ভালো হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজারের বেশি এই কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর ভোলাতে কুষ্ঠ রোগ সংম্পর্কে মানুষের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা রোগ গোপন করে। যার ফলে প্রতিনিয়ত তাদের শরীরে সংক্রামণের মাত্রা বাড়তে থাকে। এক সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন অংঙ্গ-প্রতঙ্গ কাজ বন্ধ করে দেয়। তাই কেটে ফেলতে হয় তাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন হিড বাংলাদেশের এরিয়া ব্যবস্থাপক রতন কুমার অধিকারী, দি-লেপ্রসি মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার খালেকুজ্জামান প্রমূখ।
(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/প্রতিনিধি/জেবি)