ফরিদপুরে আট চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ফরিদপুরে চালের বাজারে অভিযান চালিয়ে আট ব্যবসায়ীকে মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের চকবাজার, শোভারামপুর ও গোয়ালচামট মহল্লার খোদাবক্স রোড এবং শহরতলীর কানাইপুর এলাকায় এ অভিযান চলে।
ফরিদপুর র্যাব-৮ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম সজল চন্দ্র শীল ও কামরুন নাহার।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহিস উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে খোদাবক্স রোডে নবীণ চন্দ্র সাহার গুদাম থেকে ৪০ মেট্রিক টন, একই এলাকার শিবুনাথ সাহার গুদাম থেকে ৬০ মে.টন ও শোভারামপুর এলাকার কীর্ত্তন সাহার গুদামে থেকে ১০ মে.টন চাল পাওয়া যায়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শিবুকে ৩০ হাজার, নবীণকে ২০ হাজার, কীর্ত্তনকে ১০ হাজার টাকা এবং এছাড়াও শহরের চকবাজারে চাউল বিক্রয়ের অনুমতি না থাকায় ও অতিরিক্ত চাউল মজুদের দায়ে আনিসুজ্জামানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় গুদামজাত চাল দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় তাদের।
ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল বলেন, ওই চার ব্যবসায়ীর কারও কাছেই লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স না থাকলে কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী এক টনের বেশি চাল মজুদ করতে পারেন না। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর কাছে অতিরিক্ত ১০৭ মে.টন চাল বেশি পাওয়ায় ১৯৫৬ সালের অত্যাবশকীয় খাদ্য পণ্য আইনে দোষী সাব্যস্ত করে ওই চার চাল ব্যবসায়ীকে এ জরিমানা করা হয়। এছাড়া গুদামজাত চাল দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারের চার ব্যবসায়ীকে অতিরিক্ত চাল মজুদ করার দায়ে জরিমানা করা হয়। এরা হলো স্বপন সিকদার ২০ হাজার, কৃষ্ট সাহা ১০ হাজার, সুজন পোদ্দার ১০ হাজার, নন্দ পোদ্দারকে ১০ হাজার টাকা জমিমানা করা হয়।
সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার জানান, অতিরিক্ত চাউল মজুদ ও চাউল বিক্রয়ের সরকারি অনুমোদন না থাকায় দায়ে কানাইপুর বাজারের চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)