নাম ‘বাহাদুর’ দাম ২৮ লাখ
উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট, দৈর্ঘে নয় ফুটের বেশি। কোরবানির পশুর হাট জমার আগেই আলোড়ন তৈরি করল ‘বাহাদুর’। ২৮ লাখ টাকায় বিক্রি হলো বিশালদেহী এই ষাঁড়।
তবে কোনো হাট নয়, বাহাদুর বিক্রি হয়েছে খামারেই। থাকছে এতদিনের আবাসেই। ঈদের দিন নিয়ে যাবেন ক্রেতা।
বাহাদুরের বেড়ে উঠা সাদিক এগ্রোতে। এখানে আছে বিশালাকায় সব গরু। গত বছর এখানকার ‘সুলতান’ বিক্রি হয়েছিল ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায়।
সাদিক এগ্রোর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সাত মসজিদ হাউজিং ১ নম্বর রোডের খামারে রয়েছে গরুটি। এখানকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা মো. সুমন খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটাই এবারের সবচেয়ে বড় গরু। এর ছোট কিছু ছিল, সেগুলোও বিক্রি হয়ে গেছে। এখনো আমাদের এখানে ৬০০ কেজির উপরের অনেক গরু আছে।’
খামারটিতে ২০০ থেকে ৬০০ কেজি ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। এবার ২০০ থেকে ৪০০ কেজি ওজনের গরুর কিনতে ক্রেতাদের প্রতি কেজির জন্য গুনতে হবে ৩৫০ টাকা।
গরুর ওজন ৪০১ থেকে ৫০০ কেজির মধ্যে হলে কেজি প্রতি দাম পরবে ৪০০ টাকা হারে। ৪৫০ টাকা কেজি গুনতে হবে ৫০১ থেকে ৬০০ কেজি ওজনের গরুর জন্য। গরুর ওজন ৬০০ কেজির বেশি হলে তা বিক্রি হচ্ছে চুক্তিতে।
হাটে ভিড় এড়াতে বিশেষ করে সম্পদশালীরা এখন বিভিন্ন খামারে ছুটছেন। সেখানে গরুর দাম পরিশোধের পর ঈদের দিন বা ক্রেতার পছন্দ মত সময়ে তা বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায়, কেনাবেচা পুরোদমে শুরু হয়নি এখনও। ক্রেতারা আসছেন বটে, তবে ঘুরে দেখছেন খামারগুলো, যাচাই করছেন দাম।
শুক্রবার থেকে ক্রেতা আনাগোনা পুরো দমে বাড়বে বলে মনে করেন খামার মালিকরা সংশ্লিষ্টরা।
গরুর পাশাপাশি খামারটিতে আছে বিভিন্ন জাতের ছাগল। আছে বিভিন্ন আকারের দেশীয় জাতের ছাগল। সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এসব ছাগল।
দামের দিক থেকে বেশ এগিয়ে ভারতীয় আজমিরি জাতের ছাগল। বিক্রি হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা থেকে আড়াই লক্ষ টাকার মধ্যে।
গরু-মহিষ ও ছাগলের পাশাপাশি দেশের অন্যতম বৃহৎ এগ্রো ফার্মটিতে বিক্রি হচ্ছে দুম্বা। ভারতীয় জাতের এসব দুম্বা বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে তিন লাখ টাকায়।
ঢাকাটাইমস/১৪আগস্ট/কারই/ডব্লিউবি