জামালপুরে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ

জামালপুর প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৪

জামালপুর-৫ (সদর) আসনে পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আবার নিজেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে। বিএনপির অভিযোগ, তাদের প্রার্থী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের গাড়ি বহরে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজাফফর হোসেনের সমর্থকরা।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ, বিএনপির কর্মী সমর্থকরা তাদের প্রচার ক্যাম্পে হামলা করেছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা ইজিবাইক।

বিএনপির প্রার্থী ওয়ারেছ আলীর অভিযোগ, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দুয়া কালিবাড়ী বাজারে গণসংযোগে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের কর্মীরা তার বহরে হামলা চালায়। এ সময় কর্মী সমর্থকদের মারধর করে তারা। এসময় ছাত্রদল নেতা বায়েজিদ আহমেদসহ আট জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে বিএনপির প্রচারে বাধা ছাড়াও হুমকি ধামকি ও পোস্টার ছিড়ে ফেলার করেছেন মামুন। তার অভিযোগ, রিটার্নি কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোজাফফর হোসেন বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘বিএনপির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার নেতা-কর্মী সমর্থকেরা কোনো হামলা করেনি।’

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা সাইদুর রহমান শেলীর অভিযোগ, কেন্দুয়া কালীবাড়ী বাজারে নির্বাচনী ক্যাম্পে বিএনপি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা তাদের ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।’

জানতে চাইলে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিমুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বেলা ১২টার দিকে বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেছে হামলার। জানিয়েছেন দুটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছে। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তাদের প্রচারে থাকা একটি অটোবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি, আমরা এখন তদন্ত করে দেখব।’

এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ সালে বিএনপি এখানে জিতলেও পরের প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পেয়েছেন অনায়াস জয়। ১৯৯৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা নির্বাচিত হন রেজাউল করিম হীরা। তবে এবার ক্ষমতাসীন দল প্রার্থী পাল্টে মার্কা দিয়েছে মোজাফফর হোসেনকে। প্রার্থী পাল্টেছে বিএনপিও। ২০০৮ সালে লড়া সিরাজুল হকের বদলে বিএনপি এবার প্রার্থী করেছে ওয়ারেস আলী মামুনকে।

১০ বছর আগের ভোটে এই আসনে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়ে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯০২টি। আর ধানের শীষে পড়ে ৮৮ হাজার ১১৮ ভোট। ব্যবধান ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৭৮৪।

ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :