বাল্যবিবাহের বিশেষ বিধানের সমালোচনা ইইউ পার্লামেন্টে

ইউরোপ ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০১৭, ২২:৫২
অ- অ+

বাংলাদেশের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিশেষ বিধানের সমালোচনা করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্ট। বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিবাহ বন্ধে সরকারের আরো জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন, মানবাধিকার,বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্লামেন্ট অধিবেশন সকালে শুরু হলেও নির্ধারিত কার্যসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা শুরু হয় একটু দেরিতে।

বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনার প্রথমেই বাল্যবিবাহ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার, রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের তুলে নেয়া,গার্মেন্টস সংস্কার,খুন,শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ড,জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার অভাব,দুর্নীতি, সন্ত্রাস,গণতন্ত্র এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

বিতর্কের শুরুতে এমইপি চার্লস ট্যানক বাংলাদেশের বাল্যবিবাহের ওপর সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেন। বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে (নতুন আইনে)গলদ রয়েছে বলে তা নিয়ে সমালোচনা হয়। বলা হয়, সরকারের উচিত বাল্যবিবাহ বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া। বিশেষ ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের বিশেষ বিধান ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রচণ্ডভাবে সমালোচিত হয়।

নারীদের সক্ষমতা, সমতার এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। অন্যান্য আলোচনার মধ্যে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের বিচার ও মুক্ত মতের চর্চার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোরালো দাবি করা হয়। শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার অধিকার,গার্মেন্টসে কর্মপরিবেশ,শ্রমিক উন্নয়ন, শিশুশ্রম বন্ধের দাবিও আসে। সেই সঙ্গে এমইপিরা সবাই একবাক্যে বিগত ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর,২০১৭ সালের ১৬ মার্চ ও ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস কনভেনশনের আলোকে নেয়া রেজ্যলুশনের পর্যালোচনা ও এর প্রতি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন ব্যক্ত করেন। ইউএনএফপি এবং ইউনিসেফ কর্তৃক ১২টি পয়েন্টে বাংলাদেশ শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ বন্ধে অঙ্গীকারাবদ্ধ সনদে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট বাংলাদেশ ইস্যুতে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিবাহ বন্ধে সরকারের আরো জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়। বিতর্ক ফুঁসে উঠে যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রসঙ্গ আসে।

এমইপিরা বলেন,বাংলাদেশে ভঙ্গুর গণতন্ত্রের সুবাধে আইনের শাসন উপেক্ষিত,মতপ্রকাশের প্রচণ্ড বাধার মুখে সংবাদপত্র, সাংবাদিক, মিডিয়া, ব্লগার। স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা দেয়া হয়। বিরোধীদের দমন-পীড়ন, নির্যাতনের চিত্রও তুলে ধরেন কেউ কেউ। এসব বন্ধের দাবির পাশাপাশি সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং সেই সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের তাগিদ দেয়া হয়।

আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং আপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এসআই)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০২৪ সাল ছিল স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ: তারেক রহমান
জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিলেন আব্দুল হান্নান মাসউদ, জানুন কারণ
শেখ হাসিনাকে বুজুংবাজুং বুঝিয়ে তাপস ও আতিক নগর ভবন দিয়ে পালিয়ে যায়
সরকার বরাদ্দ বিশেষ ট্রেন নিয়ে অসন্তোষ, রাজশাহীতে বিক্ষোভ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা