বাবাকে বাঁচাতে স্কুল ছেড়ে ভ্যান চালাচ্ছে শিমু

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন,চিরিরবন্দর প্রতিনিধি
| আপডেট : ০২ মে ২০১৭, ১৬:০২ | প্রকাশিত : ০২ মে ২০১৭, ১৫:৫৮

বাবা অসুস্থ। চিকিৎসার খরচ মেটানোর সাধ্য নেই। সংসারে বড় ভাই থাকলেও বিয়ে করার পর তিনি আলাদা সংসার করছেন। কিন্তু অসুস্থ বাবার চিকিৎসার কি হবে? এজন্য স্কুল বাদ দিয়ে বাবার চিকিৎসার খবর চালাতে ভ্যানের প্যাডেলে চেপে বসতে হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী শিমুকে। পুরো নাম আফরোজা আকতার শিমু।

শিমু দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার শিক্ষকরা জানান, মেয়েটি মেধাবী। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে আগে নিয়মিত আসলেও এখন আর স্কুলে আসে না।

এক বছর আগে প্যারালাইসিস হয়ে ডান হাত ও ডান পা অবশ হয়ে যায় শিমুর বাবা সিরাজুল ইসলামের। এরপর থেকে তিনি আর চলাফেরা করতে পারছেন না। তাই ভ্যান চালিয়ে বাবার চিকিৎসা ও পরিবারের খরচ যোগানোর জন্য সংসারের হাল ধরতে হয়েছে শিমুকে।

সপ্তাহে পালাক্রমে শিমু ও তার মা অসুস্থ সিরাজুল ইসলামকে ভ্যানে বসিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তি করছে।

দুই বোন, এক ভাই ও বাবা মাসহ শিমুদের পরিবারে মোট সদস্য পাঁচজন। ভাই বিয়ে করে আলাদা হওয়ার পর বড় বোনেরও বিয়ে হয়ে গেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবাও এক বছর ধরে অসুস্থ।

শিমুর বাবা সিরাজুল কান্নাজড়িত কন্ঠে ঢাকাটাইমসের এই প্রতিবেদককে জানান, সংসারে আয় করার মতো কেউ নেই। তাই সংসারের খরচ ও চিকিৎসার টাকা যোগাড় করতে বাধ্য হয়ে স্কুলের ক্লাশ নষ্ট করে শিমু ও তার মা পালাবদল করে আমাকে ভ্যানে বসে ভিক্ষা করছি।

এমন অবস্থায় সিরাজুলের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন আব্দুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দীন শাহ। ঢাকাটাইমকে তিনি বলেন, আগামী অর্থ বছরে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় সিরাজুলকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

সমাজের বিত্তবানদের তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়ের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আবেদন জানান সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকাটাইমস/২মে/প্রতিনিধি/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :