সুন্দরবনের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ মে ২০১৭, ১৫:৫৬
অ- অ+

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনে নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। তবে ফায়ার লাইনের মাঝে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের।

আগুন যাতে নতুন করে আর ছড়াতে না পারে এজন্য নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকার প্রায় পৌনে পাঁচ একর এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন (অগভীর নালা) কাটা হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম শনিবার সকালে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বনের ওই এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখে বনকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকশ মানুষ কলস-বালতি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। গতকাল দুপুর থেকে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে আর কোনো এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার এই ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার দুপুর থেকে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ করছে। গত বছরের আগুনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার বন বিভাগ স্থানীয়দের নিয়ে প্রথম থেকেই ফায়ার লাইন তৈরি করতে শুরু করে। প্রায় পৌনে পাঁচ একর এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি দিয়ে ফায়ার লাইন ভিজিয়ে দিয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনো বিক্ষিপ্তভাবে ফায়ার লাইনের ভেতন ধোঁয়া রয়েছে। আমরা তা সম্পূর্ণ নেভাতে কাজ করছি।’ বিকালের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হবে বলে আশা তার।

বন বিভাগ জানায়, শুক্রবার সকালে ধানসাগর স্টেশনের ‘নাংলি টহল ফাঁড়ি’র মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডুলি দেখা যায়। এর আগে গত বছরের ২৭ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনভুক্ত নাংলী ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী বিলের মিঠা পানির মাছ আহরণ ও জাল পাতার স্থানগুলো পরিষ্কার করতে দুর্বৃত্তরা অন্তত চার থেকে পাঁচ দফায় পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করে।

ডিএফও সাইদুল ইসলাম জানান, আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামান প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে কমিটি কাজ শুরু করবে। তাদের প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এসিএফ মেহেদীজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। নাশকতা কি-না তা তদন্ত করে দেখা হবে।

বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোনো গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে বলে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মে/প্রতিনিধি/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সেই রাত স্মরণে তালা ভেঙে বেরিয়ে এলেন রোকেয়া হলের ছাত্রীরা
রাতে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে মুখর ঢাবি ক্যাম্পাস
চাপাতি ধরে ফোন-মানিব্যাগের সঙ্গে জামা-জুতা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
সিরাজগঞ্জে সরকারি অফিস ‘দখল করে’ জামায়াতের কার্যালয়ে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা