সিডিউল বিক্রি না করে কৌশলে বেরিয়ে গেলেন মেয়র
শেষ দিনেও বৈধ ঠিকাদারদের কাছে কোনো সিডিউল বিক্রি করলেন না নওগাঁর পৌর মেয়র নজমুল হক সনি। এতে ক্ষোভে মেয়রকে দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রায় ৪০ জন ঠিকাদার। পরে কৌশলে পৌরসভা থেকে বের হয়ে গেলে পৌরসভা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুদ্ধ ঠিকাদাররা।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, নওগাঁ শহরের এডিপি প্রকল্পের মোট ৬০ লাখ ৯৫ হাজার ৯৩৮ টাকার বিপরীতে পাঁচটি কাজের টেন্ডার আহবান করা হলেও সিডিউল বিক্রি করছেন না মেয়র নজমুল হক সনি। মেয়রের পছন্দের দু-একজন ঠিকাদার আছেন- যাদের দিয়ে তিনি প্রতিটি কাজ করিয়ে নেন। এর বিনিময়ে মোটা অংকের কমিশন নেন মেয়র।
তারা বলেন, তিন দিন আগে থেকে সিডিউল বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার শেষ দিনেও তিনি কোন সিডিউল বিক্রি না করেই অফিসে তালা ঝুলিয়ে কৌশলে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফরিদ এ্যান্ড সুলতান ট্রেডার্স-এর মালিক শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা প্রায় ৪০ জন ঠিকাদার গত তিন দিন ধরে সিডিউল কিনতে পৌরসভায় ঘোরাঘুরি করছি, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়র আজ নয়; কাল নয়; পোরশু এই করছেন। কিন্তু আজকে ছিল শেষ দিন। যার কারণে সিডিউল না পেয়ে আমরা মেয়রকে অবরুদ্ধ করে রাখি। কিন্তু কিছু পরে আজও টালবাহানা করে কৌশলে পালি যান মেয়র।
মেসার্স হাসান আলভী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কাজী মেহেদী হাসান বলেন, মেয়র নজমুল হক সনি নওগাঁ জেলা বিএনপির একজন সভাপতিও। আর তাই বিরোধী দলে থেকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার দলীয় দুয়েকজন ঠিকাদারদের অবৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেয়। এর বিনিময়ে মোটা অংকের কমিশনও পান তিনি।
নুসরাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নাদিম হোসেন বলেন, শুধু এই কাজই নয়। এই মেয়র শুরু থেকেই এমনটি করে যাচ্ছেন। যে কোন কাজ আসামাত্র পছন্দের কয়েকজন ঠিকাদার মিলে ভাগ করে খায়।
তবে এ বিষয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে মেয়র নজমুল হক সনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কোন কথা বলতে রাজি নই। তবে সামান্য ঝামেলা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)