পৃথক হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, অপরজনের যাবজ্জীবন

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৮:১০

শেরপুরে পৃথক দুটি হত্যা মামলার রায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড ও অপর একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মুসলেহউদ্দিন ওই রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁশলী ইমাম হোসেন ঠান্ডু জানান, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধোপাগোছনা গ্রামের কেশব চন্দ্র দাসের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র দাস শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্দা গ্রামের মনেন্দ্র চন্দ্র দাসের মেয়ে রানু দাসকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রঞ্জিত শ্বশুর বাড়িতে থাকত। স্বামী শুকদেবকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করত রঞ্জিতের শ্যালিকা চাঁনবালা। দুই ভায়রা একসাথে বসবাস করায় পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।

এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে রঞ্জিতের সাথে শ্যালিকা চাঁনবালার কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় রঞ্জিত একটি ধারালো দা নিয়ে চাঁনবালার ঘরে ঢুকে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজন এসে রঞ্জিতকে আটক করে পুলিশে দেয় এবং আহত চাঁনবালাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন রাতে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মনেন্দ্র চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ২ মে ঝিনাইগাতী থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ম্যাজিস্টেট, চিকিৎসকসহ ৭জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সোমবার সাক্ষ্য-প্রমাণেরভিত্তিতে বিচারক রঞ্জিত দাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

অপরদিকে, ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি সকালে শেরপুর সদর উপজেলার পাঞ্জরভাংগা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিজাম উদ্দিন নামে এক কৃষক খুন হন। ওইদিন নিজামউদ্দিনের দখলে থাকা একখণ্ড জমি দখল নিতে আসে প্রতিবেশী আবেদ আলী ও তার লোকজন। এ সময় নিজাম ও তার ভাই শাজাহান বাধা দিলে আবেদ আলী গং রামদা, কিরিস ও লাঠিসোঠা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। হামলায় নিজাম উদ্দিনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন গভীর রাতে নিজাম উদ্দিন মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মীর জাহান সাতজনকে আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছর ২৪ মে সদর থানায় উপ-পরিদর্শক রজব আলী সাতজনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে সোমবার বিচারক আসামি আবেদ আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৪০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবেদ আলী পলাতক রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলায় অভিযুক্ত অপর সাতজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :