হুমায়ূনহীন ৬ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৮, ১৮:১৪ | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৮, ০৮:১৬

তাকে বলা হয় দেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাণের মহান কারিগর। গল্প, নাটক, সিনেমায় ছিলো তার বসবাস। গানের দুনিয়াতেও কম সাড়া ফেলেননি তিনি। চিত্রকলা কিংবা মঞ্চ নাটকেও দাগ রেখেছেন যথেষ্ট। শিশুদের জন্যও কাজ করে গেছেন উল্লেখযোগ্য। তাকে অস্বীকার করার, ভুলে থাকার কোনো সুযোগ নেই বাঙালির। তিনি হুমায়ূন আহমেদ। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। শারীরি অবয়বে তার না থাকার ৬ বছর হতে চললো। তবে তিনি রয়ে গেছেন শত-সহস্র ভক্ত-অনুরক্তের হৃদয়ে।

১৯ জুলাই ২০১২ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। নিকট ইতিহাসে আর কোনো সাহিত্যিকের মৃত্যু এভাবে দাগ কাটেনি, যেমনটা এ কথাসাহিত্যিকের বিদায়বেলায় হয়েছিল।

১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া হুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই লেখালেখি শুরু করেন। লেখা দিয়ে সাহিত্য সমালোচকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন তিনি। নন্দিত নরকে তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। এরপর শঙ্খনীল কারাগার, রজনী, এপিটাফ, পাখি আমার একলা পাখি, ফেরা, নিষাদ, দারুচিনি দ্বীপ, নির্বাসন, অমানুষ, রূপালী দ্বীপ, শুভ্র, দূরে কোথাও, মন্দ্রসপ্তক, বাদশাহ নামদার, সাজঘর, বাসর, নৃপতির মতো পাঠক হৃদয় জয় করা উপন্যাস আসে তার লেখনীতে।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তিনি লিখেছেন ‘জোৎস্না ও জননীর গল্প’, ‘১৯৭, ‘সূর্যের দিনের মতো’ উপন্যাস। হুমায়ূনসৃষ্ট মিসির আলী ও হিমু হয়ে উঠে পাঠকদের প্রিয় চরিত্র। ‘অনন্ত নক্ষত্র বীথি’, ‘ইরিনা’র মতো কয়েকটি কল্পবিজ্ঞান কাহিনীও লিখেছেন তিনি।

৮০ এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘এইসব দিনরাত্রি’ দিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান তিনি। এরপর বহুব্রীহি, অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাতের মতো জনপ্রিয় নাটকও আসে তার হাত দিয়ে। নাটক লেখার এক পর্যায়ে নির্দেশনায়ও নামেন হুমায়ূন। নাটক নির্দেশনায় হাত পাকিয়ে নামেন চলচ্চিত্র পরিচালনায়। আগুনের পরশমনি দিয়ে শুরু করে শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামলছায়ার মতো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তিনি। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ও মানুষের কাছে বেশ প্রশংসা কুড়ায়।

মৃত্যুদিনে হুমায়ূনকে স্মরণ করবেন নেত্রকোনাবাসী:

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জননন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে তার হাতে গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে। এই দিনে কোরান খতম, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, শোভাযাত্রা, আলোচনা-সভার আয়োজন করেছে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুরে নুহাশ পল্লীতেও থাকবে মৃত্যুদিনের আয়োজন:

হুমায়ূন আহমেদের নিজের হাতে গড়া নুহাশপল্লীতেও কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। নুহাশপল্লীর আশপাশের মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র, পরিবারের সদস্য এবং হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন লেখকসহ প্রায় ৬০০ জনকে এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতসহ স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন সকাল থেকে সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ঢাকাসহ ১৬ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সব বাধা অতিক্রম করে জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

দেশে ১৩ শতাংশ মানুষ চোখের গ্লুকোমা সমস্যায় ভুগছে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএমের কার্যকর ভূমিকা চায় বাংলাদেশ

সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিভেছে: পরিবেশ মন্ত্রণালয়

জাহাজে হজযাত্রী পরিবহনের বিষয়টি ‘ইনকারেজ’ করছে না সৌদি: ধর্মমন্ত্রী

জিসিসির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নবদিগন্ত উন্মোচন

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে আশাবাদী সরকার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :