স্বামী ও দুই সন্তানকে হত্যাচেষ্টার পর গৃহবধূর আত্মহত্যা
স্বামীকে গলাকেটে এবং দুই ছেলেকে চেতনাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর আত্মহত্যা করেছেন জোসনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ। তার স্বামী স্বপন মিয়া এবং দুই সন্তানকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে গোলাপবাগের কাইয়ুমের বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাশের বাড়িতে থাকা স্বপনের আত্মীয়রা এগিয়ে আসেন।
এসময় তারা দেখে স্বপনের স্ত্রী জোসনা বেগমের দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে এবং স্বপনের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে এবং দুই ছেলে ছেলে ইফতি ও জোহা অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
পরে তিনজনকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসেন তারা। চিকিৎসকরা স্বপনের গলায় সেলাই দিয়েছে। তবে তিনি অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। দুই ছেলে ইফতি ও জোহার জ্ঞান ফিরেছে।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরেই স্ত্রী জোস্না তার স্বামীর হাত-পা বেধে গলা কেটে হত্যা করতে চায়। এ জন্য তার দুই সন্তানকে আগেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে নেয়। পরে যখন সে মনে করে তার স্বামী মারা গেছেন ওই সময় নিজেই ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জোস্নার মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে৷’
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া ঢাকাটাইমসকে জানান, গলায় ফাঁস দেওয়া ওই নারীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। স্বপন মিয়া গলায় ডাক্তাররা সেলাই দিয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত। তাদের দুই ছেলেও পুরোপুরি সুস্থ। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এসএস/ডিএম