ডাস্টবিনের ফল যাদের খাবার
‘একটু পচলে বড় লোকেরা খায় না, আমরা তো খাই’

রাস্তার পাশে ডাস্টবিন। সেখানে কেউ ফেলে গেছেন এক ব্যাগ কমলা। কমলাগুলো আধাপচা। কোনো কোনোটি পুরোপুরি পচে গেছে। ফেলে যাওয়া ফলগুলো চোখে পড়ে একদল পথশিশুর। তাদের চারজন মেয়ে ও একজন ছেলে। ডাস্টবিন থেকে তুলে আনে ফলগুলো।
শুরু হয় ফল বাছাই। অর্ধপচা ফলগুলো রেখে ফেলে দেওয়া হয় পচাগুলো। এরপর পাঁচজন শিশু নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় ফলগুলো। আর তাতেই বেজায় খুশি তারা।
সোমবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বসিলা রোডের বেড়িবাঁধ তিনরাস্তার মোড়ের পাশে ডাস্টবিনের পাশের চিত্র এটি।
যে পাঁচ শিশু ডাস্টবিনে ফেলে যাওয়া ফলগুলো নিজেদের খাবার হিসাবে তুলে আনে, তাদের চারজনই শিক্ষার্থী।
চার বছরের আরফান শিশুটি এখনো স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। অন্য চারজনের মধ্যে মুক্তা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, পড়াশোনা করে ইন্টারভিডা স্কুলে। একই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে নিপা। প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সুবর্ণা পড়াশোনা করে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকার আনন্দ স্কুলে। আর সুমি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
কখনো কিনে ফল খাওয়া হয়নি এই শিশুদের। কখনো দোকানে চেয়ে আধপচা ফল, আবার কখনো লোকের কাছে চেয়ে খেয়েছে। পথের পাশে এতগুলো ফল পড়ে থাকতে দেখে তাই লোভ সামলাতে পারেনি এই পাঁচজনের কেউই। ছুটে গিয়ে ডাস্টবিন থেকে তুলে নিয়েছে খাওয়ার জন্য।
তারা জানায়, ফল কেনার টাকা তাদের পরিবারের কাছে নেই। নিপার ভাষায়, ‘ফল কিন্না দিব ক্যাডা? টাকা পামু কই? তাই রাস্তায় পাইছি, সবাই মিলা ভাগ করতাছি। পুরা পচে নাই তো! অনেকখানি ভালো আছে।’
সুবর্ণা বলে, ‘কোমলা মজা। এডি তো ভালা। একটু পচলে বড় লোকেরা খায় না, আমরা তো খাই। এমনে চাইলে তো কেউ দিতে চায় না। ফালাইয়ে দিছে ওইখান থেকে নিছি।’
সংবাদটি শেয়ার করুন
রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
রাজধানী এর সর্বশেষ

স্থানান্তরিত অধিকাংশ রোগী ফিরেছে সোহরাওয়ার্দীতে

‘শিক্ষকদের চিন্তার বন্ধ্যাত্ব দূর করতে হবে’

তিন ধাপে দেড় হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ

পাঁচ ঘণ্টা পর চালু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল

সোহরাওয়ার্দীতে আগুন: শিশু নিহত

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল বন্ধ, সরানো হচ্ছে রোগীদের

তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য নগর অ্যাপ চালু করব

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুনে রোগীদের দুর্ভোগ

‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ’
