চাঁদপুরে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ জাল জব্দ

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন পদ্মা- মেঘনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে ১ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ও সুতার তৈরি কোণা জাল জব্দ করেছে। এ জালের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার মিটার অবৈধ জাল পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং প্রায় ৪০ হাজার মিটার জালের ছিদ্র (ফাঁক) ৪.৫ ইঞ্চির উপরে হওয়ায় সেসব জাল চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমিতির নেতাদের ও কান্টি ফিশিং বোর্ড-এর মৎস্য নেতা শাহআলম মল্লিকসহ জেলে নেতাদের অনুরোধে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার রাত ৮টায় অভিযানকালে আটক তিন জেলেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যার পূর্ব পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-সীমানায় জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগাড ও নৌ-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পদ্মা ও মেঘনা নদীর আলুর বাজার,তারাবুনিয়া,রাজরাজেশ্বর,চেয়ারম্যান ঘাট, ইশানবালার চর, হরিনা, আখনেরহাট, আনন্দ বাজার, মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর, এখলাশপুর, মোহনপুর, লগিমারার চর, চিড়ার চর, শহরের বড় স্টেশন মোলহেড পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে বিকাল ৫টায় চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোল হেডের নিকটে মেঘনা নদী থেকে ১লক্ষ মিটার কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন প্রকার জাল জব্দ ও তিন জেলেকে আটক করা হয়।

আটক তিন জেলে সুফিয়ান পাটওয়ারী, ছাদেক মাল ও আলাউদ্দিন কুড়ালীকে রাত ৮টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে।

অভিযানে নেতৃত্বে দেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। অভিযানে সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, কোস্টগার্ড অফিসার, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভুঁইয়া, উপ-পরিদর্শক আব্দুল মতিন, মতলব উত্তর থানার ওসি তদন্ত মোরশেদুল আলম, মোহনপুর নৌ-ফাঁড়ি এসআই ইশান প্রমুখ।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জানান, ৪.৫ সে.মিটারের নিচে কারেন্টজাল কিংবা অন্য জাল সব সময় নিষিদ্ধ। সে আলোকে অভিযান চালিয়ে মেঘনা নদী থেকে ১ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয়। এসব জাল পরবর্তীতে বড় স্টেশন মোলহেড এলাকায় এনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি/এলএ)