ভারত জল বন্ধ করে দিলে কিছু যায় আসে না: পাকিস্তান
কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার পর পাকিস্তানে জল সরবরাহ না করার কথা ভাবছে ভারত সরকার।বৃহস্পতিবারই ভারতের কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, পাকিস্তানে তিনটি নদীর জল প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। খবর এনডিটিভির।
শুক্রবার সেটাই আরও স্পষ্ট করে গডকড়ি জানালেন, তিন নদীর জল বন্ধ করে ভারতের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু হয়ে গেছে। এবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। তারা জানাল তিনটি নদীর জল যদি ভারত না দেয় তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।
পুলওয়ামায় হামলার পরই পাকিস্তানকে দেওয়া মোস্ট ফেভার্ড নেশন (এমএফএন) মর্যাদা তুলে নিয়েছে ভারত। আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০ শতাংশ।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানন হয়েছে এটা নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নয়, উরি হামলার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তানের প্রথম সারির দৈনিক ডন-কে দেশটির জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা শুমাইল বলেছেন, এ নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। আন্তর্জাতিক পানি চুক্তি যদি তিন নদীর পানি পাকিস্তানের দিকে আসা বন্ধ করে ভারতে ঘুরিয়ে দেওয়া সমর্থন করে, তাহলে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
আন্তর্জাতিক পানি চুক্তি অর্থাৎ সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তির কথাই বলতে চেয়েছেন পাকিস্তানের এই আমলা। কী সেই চুক্তি? সিন্ধুর উপত্যকায় মোট ৬টি নদী রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তিনটিই ভারতের দিক থেকে পাকিস্তানে প্রবাহিত। এর মধ্যে পূর্ব দিকে রয়েছে ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা। পশ্চিম দিকের তিনটি নদী হল সিন্ধু, বিতস্তা এবং চন্দ্রভাগা। এই ছয়টি নদীর জলবণ্টন নিয়েই ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মধ্যে চুক্তি হয়। সেটাই সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, পশ্চিমের তিন নদী সিন্ধু, ঝিলম এবং চন্দ্রভাগার জল ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের। এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনোভাবেই ওই তিন নদীর প্রবাহে অন্তরায় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না ভারত। অন্য দিকে পূর্ব দিকের ইরাবতী, শতদ্রু এবং বিপাশা নদীর জল ব্যবহারের অধিকার ভারতের।
(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/এসআই)