সুস্থ থাকার দিনলিপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:২১| আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৪৭
অ- অ+

মানসিক, শারীরিক, সামাজিক দিক থেকে সম্পূর্ণ ভালো থাকাকে ‘স্বাস্থ্য’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। সুস্বাস্থ্যের কোনও বিকল্প হয় না। দীর্ঘদিন একটি কথা প্রচলিত, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর’ অর্থাৎ প্রথম থেকে সচেতন ভাবে সুস্থ জীবন যাপন করলে রোগের হাত থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়।

সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন খাবার খাওয়া উচিত কোনটি উচিত নয় তা নিয়েই এই প্রতিবেদন।

যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয়। সেই তালিকায় প্রথমেই আসে প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের কথা। যতই প্যাকেটের গায়ে দাবি করা হোক না কেন যে এগুলো স্বাস্থ্যকর, আদতে এর মধ্যে অতিরিক্ত মিষ্টি, লবণ এবং ফ্যাটজাতীয় পদার্থ থাকে।

ময়দা বাদ দিয়ে আটা খাওয়ার অভ্যাস করুন। যেকোনো গোটা শস্যের মধ্যে উপকারিতা অনেক বেশি থাকে। সকালের খাবারে ডিমের পরোটা মিষ্টি আলু সহযোগে কিছুটা দই খাওয়া যায়। পরোটা খেতে ইচ্ছে না করলে এ জাতীয় কিছু খেতে পারেন। ফলও রাখতে পারেন সকালের নাস্তায়।

মধ্যাহ্নভোজে ডাল-রুটি, সবজি সালাদ অথবা ভাত। আর এই একই ধরনের খাবার ফের খেতে পারেন রাতেও। অনেকে রাতের খাবারে ভাতের বদলে রুটি সবজি এবং সালাদ পছন্দ করেন। সেটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। মাঝখানে স্ন্যাকস খেতে ইচ্ছা করলে এক গ্লাস বাটার মিল্ক, কিছু বাদাম, মৌসুমী ফল অথবা হলুদ দেওয়া দুধ খেতে পারেন। কোল্ড কফিও মাঝেমধ্যে চলতে পারে।

চেষ্টা করুন কর্মক্ষেত্রে বাড়ি থেকে টিফিন বানিয়ে নিয়ে যেতে। কোনো কারণে যদি না খাবার বানিয়ে নিয়ে যেতে না পারেন, রাস্তায় কিনে খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দিকে রাখুন ডাব, লেবুর শরবত, বাটারমিল্ক, হারবাল চা। তবে এগুলো অবশ্যই নির্ভরযোগ্য দোকান থেকে খাবেন। কারণ দূষিত পানির শরবত খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এছাড়া দিনে ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি খেতে হবে।

একই ধরনের খাবার রোজ খেতে একঘেয়ে লাগলেও আদতে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। আর যদি খুব একঘেয়ে লাগে এর মধ্যে সামান্য মশলা বা কোনো মৌসুমী রঙিং সবজি যোগ করে দিন। যেমন, ক্যাপসিকাম বা গাজর। তাতেই দেখবেন আপনার খাবারটি দেখতেও বেশ চটকদার হয়ে উঠবে।

আসল কথা হল খিদের সময়ে পরিতৃপ্তি এবং সেই খাবার যেন শরীরে সঠিকভাবে আত্তীকরণ হয়ে পুষ্টি যোগায়। এর জন্য সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করাটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সব সময় তো আর নিয়ম মেনে চলা যায় না, তাই মাঝে মধ্যে উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টি, হালুয়া, পুরির দিকে হাত চলেই যাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাথায় রাখুন এই খাবারগুলোও কিন্তু একটু মেপে খেতে হবে। একদিন অনিয়ম করলে তারপরে আর সাত দিন কিন্তু কোনো অনিয়ম করা যাবে না।

এসব ছাড়াও দিনে আট ঘণ্টার মতো ঘুম, কাজের ফাঁকে একটু গান শোনা, হালকা ব্যায়াম এবং মেডিটেশনের মাধ্যমে সুস্থ থাকুন।

ঢাকা টাইমস/০৭এপ্রিল/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির আন্দোলনের মুখে পটিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার
বাংলামোটরে এনসিপির জুলাই চিত্র প্রদর্শনীর গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
তাড়াশে সম্পত্তি লিখে নিয়ে বাবা-মাকে বাড়িছাড়ার অভিযোগ
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা