ভারতের আগরতলায় ‘ভাটিয়াল’র ৫ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০১৯, ২১:২৪| আপডেট : ১৪ জুন ২০১৯, ২১:২৬
অ- অ+

নিয়মিত প্রকাশনা শিল্প সাহিত্যের ত্রৈমাসিক, ভাটিয়াল’র পঞ্চম বর্ষপূর্তি একটি সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

এই উপলক্ষ্যে ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় গত ২ জুন রবিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার একঝাঁক কবি, লেখক, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, শিক্ষক ও স্থানীয় সংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

রাজধানীর ভগৎ সিং যুব আবাসের হলরুমে এ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগেই পাঁচ বছর উদযাপনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে ভাটিয়ালকে ভালোবেসে ত্রিপুরার কবি ও লেখকরা উপস্থিত হওয়ায় প্রায় চার ঘণ্টা সময় ধরে হলরুমটি ছিলো একদম পূর্ণ। ভাষার টানে আর প্রাণের আবেগেই যেন এ সন্ধ্যায় ‘ভাটিয়াল’ উঠে এসেছিল উজানের পার্বত্যভূমিতে। বর্ষণক্লান্ত আবহে হয়ে গেল এক কোমলগান্ধার অনুষ্ঠান। ফেনী থেকে প্রকাশ হওয়া ‘ভাটিয়াল’ উদযাপন করল তার পঞ্চম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান৷ লিটল ম্যাগাজিনের পরিচিত ছকের শরীরের বাইরে একেবারে ঝকঝকে দৃষ্টিমুখর নন্দন নিয়ে প্রায় সংবাদপত্রের সাইজে উপস্থাপিত এই কাগজকে মুহূর্মুহূ জড়িয়ে ধরে ওখানকার সকল কবি সাহিত্যিক। প্রেমে ও প্রেরণায় দিনটিতে সবার মুখে, অর্থাৎ অনুষ্ঠানে নস্টালজিক অনুভব, সৃজনের দিগন্তবিস্তৃতি এবং ছোটো কাগজের দার্ঢ্যের অহংকারই বারবার উচ্চারিত হয়েছে।

প্রচ্ছদশিল্পী সঞ্জীব দে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অত্যন্ত আন্তরিক এবং দক্ষতার সাথে। তাঁর সঞ্চালনায় ভাটিয়াল চলতি সংখ্যাসহ ফুল দিয়ে সম্মানিত আতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাটিয়াল পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মাসুদ তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা এবং অভিবাদন জানান।

বক্তব্য রাখেন, সাহিত্য পত্রিকা ও সাহিত্যের উপর একটি দীর্ঘ আলোচনা করেছেন কবি দিলীপ দাস।

ভাটিয়াল পত্রিকা ও লোগো এবং শব্দটার উপর দারুণ বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট লোকগবেষক অশোকানন্দ রায়বর্ধন, ভাটিয়াল চলতি সংখ্যার উপর আলোচনা করেন কবি অপাংশু দেবনাথ, বিশিষ্ট গল্পকার শ্যামল বৈদ্য, আরশিনগর পত্রিকার সম্পাদক ও লেখক সুভাষ দাস, কবি ও প্রকাশক গোবিন্দ ধর, ৫ বছরের ভাটিয়ালকে তুলে ধরেন সম্পাদক ও কবি দেবব্রত সেন।

সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী তারাপ্রসাদ বণিক, শিল্পী সম্রাট পাল, শিল্পী সুমিতা ধর বসু ঠাকুর, শিল্পী রাজীব মজুমদার।

গল্পপাঠ করেন গল্পকার সৌভিক বাগচি। তিনি তাঁর দুটি অনুগল্প পাঠ করেন।

কবিতা আবৃত্তি করেছেন খোকন সাহা, বিজন বোস, গোপেশ চক্রবর্তী, শুভ্রশংকর দাস, রতন আচার্য, আলপনা দেবনাথ, দেবাশ্রিতা চৌধুরী, মুনমুন দেব, সুমিতা ধর বসু ঠাকুর, পার্থ ঘোষ, অনুপ দেবনাথ, অভীক কুমার দে, সুজাতা দেববর্মা, রিয়া দেবী, মৃণাল কান্তি পন্ডিত, গোপাল চন্দ্র দাস, অমলকান্তি চন্দ, প্রসেনজিৎ, মো. রুবেল, সাইফুল ইসলাম, চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।

ঢাকাটাইমস/১৪জুন/এইচএফ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সনির নয়েজ ক্যান্সেলেশন হেডফোন ১০০০এক্সএম৬ প্রি-অর্ডার চলছে, ৫টিরও বেশি নিশ্চিত উপহার
১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ২ পরিবর্তন
রণবীর-ইয়াশের ‘রামায়ণ’: ১৬০০ কোটি রুপি বাজেটের ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা