শরীয়তপুরে ডেঙ্গু রোগে কলেজছাত্রের মৃত্যু
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মো. দাদন লস্কর (২৫) নামের এক কলেজছাত্র ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ইদিলপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালি গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন লস্করের ছেলে দাদান রবিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা যান।
এ নিয়ে শরীয়তপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন মারা গেল। তাদের মধ্যে নারী তিন ও পুরুষ দুজন। গত ৩০ জুলাই জাজিরার স্কুল শিক্ষিকা বর্ষা আক্তার (২৭), ৫ আগস্ট ভেদরগঞ্জের ইতালি প্রবাসী হাফসা লিপি (৩০) ও ২১ আগস্ট ডামুড্যার গৃহবধূ সুরাইয়া বেগম (৩৭) এবং ২২ আগস্ট ডামুড্যা সিড্যা মানিক মীর (৩২) (ঢাকায় চাকরি করতেন ) মারা যান।
সর্বশেষ রবিবার রাতে মারা গেলেন দাদন লস্কর। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে দাদন ছিল ভাইদের মধ্যে বড়। তিনি গোসাইরহাট সরকারি সামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। অভাবের সংসারে হাল ধরতে তিনি ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন।
গত ১৫ আগস্ট ঢাকায় থাকাকালে জ্বর ওঠে দাদনের। ২২ আগস্ট গ্রামের বাড়ি চলে আসেন তিনি। পরদিন সন্ধ্যায় তাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হয়। ওই হাসপাতালের ভর্তি হয় দাদন।
গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হওয়ার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রবিবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সদর হাসপতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
শরীয়তপুর জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৮১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আগের চেয়ে কমেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/মোআ)