রুমিন ফারহানার ‘কৃতজ্ঞতা’ ও রাজনীতি

মাসুদ কামাল
 | প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:৪৯

বিখ্যাত মানুষের সন্তানদের একটা সমস্যা হচ্ছে, তারা প্রায়ই পিতার ছায়াকে অতিক্রম করতে পারেন না। লোকে তাকে চেনার আগে, তার গুণের পরিচয় পাওয়ার আগে, তার পিতার কথা ভাবে। সে বিবেচনায় বিখ্যাত বা পরিচিত হওয়ার ক্ষেত্রে রুমিন ফারহানার পথ হয়তো তেমন একটা মসৃণ ছিল না। তার পিতা অলি আহাদ খুবই বিখ্যাত মানুষ ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন শীর্ষস্থানীয়। সে কারণে ১৯৪৮ সালে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সেই বহিষ্কারাদেশ শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছিল পুরো ৫৮ বছর পর ২০০৬ সালে। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতেও অলি আহাদ ছিলেন একজন অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব। রাজনীতি করেছেন তিনি সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা, ভাসানী, বঙ্গবন্ধুদের সঙ্গে। আওয়ামী লীগের যখন জন্ম হয়, একেবারে প্রথম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে করেছেন তিনি প্রগতিশীল রাজনীতি।

এহেন অলি আহাদের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও রুমিন ফারহানা কিন্তু একেবারে শুরু থেকেই পিতার কারণে পরিচিত হননি। এরও অবশ্য কারণ রয়েছে। তিনি যখন বড় হচ্ছেন, ততদিনে তার পিতার রাজনীতি অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে। দূরত্ব তৈরি হয়েছে তার প্রগতিশীলতার সঙ্গে। ততদিনে অনেকেই যেন অলি আহাদকে অনেকটা ভুলেই গেছে। তার ওপর ২০১২ সালে তিনি মারাও যান। পিতার মৃত্যুর অনেক পরে রুমিন ফারহানাকে দেখা যায় রাজনীতির মাঠে। হয়তো সে কারণেই মানুষের কাছে তিনি পরিচিতি পান নিজের যোগ্যতায়।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেও সাধারণ মানুষের অনেকেই চেনেন তাকে টেলিভিশনের টক শো বক্তা হিসাবে। বিভিন্ন টেলিভিশনের টক শো বা রাজনৈতিক আলোচনায় নিয়মিত অংশ নেন তিনি গত কয়েক বছর ধরে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতারা যখন নিজ দলের পক্ষে বলতে গিয়ে প্রায়ই যুক্তিহীনতা বা গোয়ার্তুমির আশ্রয় নিতে পছন্দ করেন, তখন দর্শকরা তাকে পেয়েছে একেবারেই ব্যতিক্রমী একটা চরিত্র হিসাবে। আলোচনা বা বিতর্কে তিনি তার দল বিএনপির পক্ষ নিয়ে যখন কথা বলেন, তাতে গোয়ার্তুমির চেয়ে যেন যুক্তিটাই বেশি থাকে। সে যুক্তি হয়তো অনেকের কাছে পছন্দ হয় না, হয়তো তারা একে নিছকই কুযুক্তি বলে অভিহিত করে থাকেন, কিন্তু তারপরও এতটুকু অবশ্যই মানতে হবে যে, টক শোতে অধিকাংশ সময় তিনি গোয়ার্তুমি তেমন একটা করেন না।

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন রুমিন ফারহানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিএনপির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যে আসনটিকে বেছে নিয়েছিলেন, সেখানে বিএনপির খুবই জোরালো একজন প্রার্থী আগে থেকেই ছিল। তিনি উকিল আবদুস সাত্তার। এই ভদ্রলোক এলাকায় খুবই জনপ্রিয়, ভোটে দাঁড়ালেই পাস করেন। এমন একজন জাঁদরেল প্রার্থীর আসনেই দলীয় মনোনয়ন চাইলেন টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দল অবশ্য ভুল করলো না, নতুন আমদানি রুমিনের পরিবর্তে পুরোনো উকিল সাহেবের উপরেই ভরসা রাখলো। দলের সেই আস্থা যে ভুল ছিল না, প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ অবশ্য সেটা প্রমাণ করলেন। এই আকালের দিনেও ভোটের লড়াইয়ে জিতে গেলেন।

তবে দল রুমিনকেও বঞ্চিত করলো না, ছয় এমপির কারণে যে একটি সংরক্ষিত আসনের দাবিদার তারা হলো, সেটি তাকে দিল। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা হলেন বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। ছয় এমপি নিয়ে বিএনপি সংসদে যাবে কি না, সে বিতর্কও ছিল দলের মধ্যে। শুরুতে দল চায়নি। কিন্তু এক পর্যায়ে দলীয় নির্বাচিতরা যখন দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করতে উদ্যত হলো, তড়িঘড়ি করে রাজি হলো দলের হাইকমান্ড। এটা নির্বাচনের প্রায় তিন মাস পরের ঘটনা। এই তিন মাসে সংসদে না যাওয়ার পক্ষে সবচেয়ে সরব কণ্ঠগুলোর মধ্যে একটি ছিল ব্যারিস্টার রুমিনের। তিনি যেহেতু টেলিভিশনের টক শোতে নিয়মিত বলার সুযোগ পেতেন, তাই জনগণের কাছে তার যুক্তিগুলোই পৌঁছতে লাগলো সবচেয়ে বেশি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও কেন দলের এমপিদের শপথ নেওয়া উচিত নয়, সংসদে যাওয়া উচিত নয়, সেসব যুক্তি দিয়ে প্রচার করতে থাকলেন এই ভদ্রমহিলা। অথচ এর কিছুদিন পরই দেশের মানুষ দেখলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হয়েও, দলের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনের এমপি হয়ে সংসদে ঢুকলেন তিনি!

শপথ নিতে গিয়ে কি বললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা? বললেন- তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সংসদে তুলতে, জনগণের অধিকারের কথা বলতে, দলের নিপীড়িত নেতা-কর্মীর কথা বলতেই তিনি সংসদে যাচ্ছেন। অনেকে ভাবলেন, তাহলে তো ভালোই, এবার বিএনপির রাজনীতি সংসদের ভিতর ও বাহিরÑ উভয় জায়গাতেই থাকবে। টক শোর তুখোর বক্তা সোচ্চার হবেন সংসদে। দেশের মানুষকে তিনি বুঝিয়ে ছাড়বেনÑ এই সরকার কতটা স্বৈরাচারী, কতটা অত্যাচারী। আবার উল্টোটাও হয়তো ভাবলেন কেউ কেউ। বললেনও, তাহলে এতদিন সংসদে না যাওয়ার কথা কেন শুনতে হলো তার মুখ থেকেই? এখনকার এই যুক্তিগুলো কি তিনি আগে জানতেনই না? তাহলে কি এতদিন তিনি সুযোগের অভাবে সৎ ছিলেন? না পাওয়ার বেদনায় ছিলেন প্রতিবাদী?

এই প্রশ্নগুলোর জবাব হঠাৎ করেই যেন পাওয়া গেল এবার। ওনার একটা চিঠির কথা জানা গেল। গত ৩ আগস্ট একটা চিঠি লিখেছেন তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে। এই শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে রুমিন ফারহানার দুটি মিল রয়েছে। এই ভদ্রলোকও উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবী এবং ইনিও টেলিভিশন টক শোতে বেশ সরব। সেই হিসাবে ব্যারিস্টার রুমিন তাকে চিঠি লিখতেই পারেন। কিন্তু চিঠির ভাষাটা এমন ছিল যে, একে চিঠি না বলে ‘কাতর আবেদন’ বলাই শ্রেয়। মন্ত্রীর কাছে পূর্বাচলে দশ কাঠার একটি প্লট চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। আবেদনটি শেষ করেছেন এভাবে- তার নামে দশ কাঠার একটা প্লট বরাদ্দ দিলে তিনি মন্ত্রীর কাছে ‘চিরকৃতজ্ঞ’ থাকবেন!

চিঠি এবং তার বিষয়বস্তু সংবাদমাধ্যমে আসতেই দারুণ হইচই পড়ে গেল। অনেকেই বিস্মিত হলেন, অবাক হলেন। শেষ পর্যন্ত রুমিন ফারহানা! যিনি এই সংসদকেই অবৈধ বলেন, সংসদে গিয়েছেন তিনি কেবলমাত্র নেত্রীর মুক্তির জন্য বলতে, জনগণের জন্য বলতে, দলের নিপীড়িত নেতা-কর্মীর কথা বলতে, তিনিই সরকারের মন্ত্রীর কাছে প্লট চাচ্ছেন? তাও আবার এমন কাতর ভঙ্গিতে! তাহলে কি ‘সুযোগের অভাবে সৎ’ প্রবাদটি তার জন্যও প্রযোজ্য হলো? যে-ই না প্লট লাভের সুযোগ পেলেন, অমনি তা পাওয়ার আশায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন!

রুমিন ফারহানা কিন্তু হার মানার লোক নন। কতগুলো এলেবেলে লোকের কথায় তিনি লজ্জা পাবেন, সেটা হতেই পারে না। তিনি যুক্তি দিতে থাকলেন। নিজের কৃতকর্মের পক্ষে যে যুক্তিগুলো তিনি দিলেন সেগুলো এ রকম: ১. রাষ্ট্র একজন সংসদ সদস্যকে জমি চাওয়ার সুযোগ দিয়েছে, তাই তিনি চেয়েছেন। ২. তিনি একা নন, আরও তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ এমপি এমন এপ্লিকেশন দিয়েছেন। ৩. তার এই চিঠিটা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ্যে বের হলো কিভাবে? ৪. সরকারের কাছ থেকে তিনি এক সুতা জমিও আশা করেন না, চিন্তাও করেন না। ৫. ওনার এই চিঠিটা ছিল একটা প্রসিডিউর, একটা ফর্মালিটিস। অন্য এমপিরা যা করেছে, তিনিও তাই করেছেন। ৬. ওই চিঠিটা তিনি নিজে ড্রাফট করেননি, ওনার পিএস ড্রাফট করেছে, উনি কেবল স্বাক্ষর করেছেন।

এছাড়াও আরও কিছু যুক্তি দিয়েছেন ব্যারিস্টার রুমিন। কিন্তু আমার এ কটাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। যুক্তিগুলো কতটুকু ধোপে টেকে, আমার বিবেচনায় তা ইতিমধ্যেই পাঠকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। আমি কেবল তার দু-একটা বক্তব্যকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করবো।

আচ্ছা, তিনি যদি সরকারের কাছ থেকে একটা সুতাও আশা না করবেন, তাহলে আবেদন করলেন কেন? যেখানে সামান্যতম আশাও নেই, সেখানে নিজের ইমেজকে ঝুঁকির মুখে ফেলা কেন? প্লটের জন্য আবেদন না করলে কি অনেক ক্ষতি হয়ে যেত? আবেদন না করলে কি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হতো? তিনি নিজের জন্য দশ কাঠার একটা প্লট পেলে কি জনগণের কিংবা তার দলের নেতা-কর্মীরা অনেক উপকৃত হতো? বললেন- এটা একটা প্রসিডিউর, একটা ফরমালিটিজ। যেটা সব এমপি করেছেন, সেটা উনিও করেছেন। আচ্ছা, প্লটের আবেদন করা ফরমালিটিজ কেন হবে? এই আবেদনটি না করলে কি ওনার সংসদ সদস্যপদ চলে যেত? সব এমপি যা করেন, তিনি কি তাই করতে চান?

আবার ভাষাটা দেখুন। বলেছেন- দশ কাঠার প্লট বরাদ্দের এই আবেদন গৃহীত হলে উনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। ধরা যাক, ওনার আবেদনটি যদি গৃহীত হতো, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উনি তো চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ থাকতেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর কাছে। তাহলে পরে সেই কৃতজ্ঞতা শোধের প্রশ্ন যদি ওঠতো, কি কি ত্যাগ স্বীকার করতেন তিনি? নিছক একটা ফরমালিটিজ পালনের জন্য যিনি ‘চিরকৃতজ্ঞ’ থাকার অঙ্গীকার করেন, এর চেয়ে বড় কিছু পেলে আর কি কি বিসর্জন দিতে রাজি হতেন তিনি? এমন একজন ব্যক্তির ওপর সরকারবিরোধী আন্দোলনে কতটুকু ভরসা করা যায়?

তার বক্তব্যে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তিনি সবচেয়ে বেশি চটেছেন তার চিঠিটাকে জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেয়ায়। এ প্রসঙ্গে আমার ওই জামালপুরের ডিসির সঙ্গে নারী অফিস সহকারীর সম্পর্কের ভিডিও প্রকাশের ঘটনাটি মনে পড়ে যাচ্ছে। ডিসি আসলে বিপদে পড়েছেন সম্পর্কটা করার কারণে, নাকি ভিডিওটি প্রকাশের জন্য? চিঠিটা প্রকাশিত না হলে বোধকরি ব্যারিস্টার রুমিন এতটা বিপাকে পড়তেন না। এতটা গোস্সাও হতেন না।

চিঠিটি পিএস ড্রাফট করে দিয়েছে বলে যে কথাটি তিনি বলেছেন, সেটা আমার কাছে সবচেয়ে হাস্যকর এবং ছেলেমানুষি বলে মনে হয়েছে। পিএস ড্রাফট করলে কি সেটা আর পড়তে হয় না? না পড়েই স্বাক্ষর করতে হয়? এখনই যদি এই অবস্থা হয়, আরও বড় হলে কি হবে? যতদূর জানি, ড্রাফট যে-ই করুক, খোদ প্রধানমন্ত্রীও একবার যদি সেটায় স্বাক্ষর করে ফেলেন, তার দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হয়। দায় এড়াতে তার এমন যুক্তি মানুষের হাসির খোরাক হয়েছে নিঃসন্দেহে।

বলতে গেলে এমন আরও অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু তার আগেই অনেকে অনেক কথা বলে ফেলেছেন। এক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল পক্ষ নিলেন ব্যারিস্টার ফারহানার। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখলেন- ‘রুমিনের সমালোচনা করার আগে অন্তত একশ বার ভোট চোর, ব্যাংক চোর, প্রকল্প চোর, শেয়ার চোর আর ঘুষখোরদের নাম ধরে ধরে সমালোচনা করতে হবে।’ এই বিষয়টা আমি ঠিক বুঝি না। একটি অন্যায়কে জাস্টিফাই করতে অপর একটি অন্যায়কে শর্ত হিসাবে জুড়ে দেয়া কেন? আইনে কি এমন কিছু আছে? একজন খুনের আসামির মুক্তি হওয়ার ঘটনাকে কি অপর একটি চুরির মামলার আসামিকে মুক্ত করার যুক্তি হিসাবে ব্যবহার করা যায়? চোরকে সাজা দিতে হলে কি দশজন ডাকাতকে সাজা দিয়ে নিতে হবে? আইনের অধ্যাপক এ কি কথা শোনালেন আমাদেরকে?

রুমিনের পক্ষ নিলেন তার দলের মহাসচিবও। তিনি বললেন ‘রুমিন তো অন্যায় কিছু করেননি। হতে পারে বিষয়টি তার জন্য আনইথিক্যাল হয়েছে।’ আসলেই রাজনীতিবিদদের কথার অর্থ বোঝা বড় কঠিন। অনৈতিকতার সঙ্গে অন্যায়ের দূরত্ব কি অনেক বেশি?

এতসব তর্ক-বিতর্কের মধ্যে রুমিন আর একটা কাজ করে বসেছেন। আলোচনা শুরুর তিন দিনের মাথায় তিনি আগের সেই আবেদনটিকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এবারও একটা চিঠি লিখেছেন মন্ত্রীকে। সেখানে বলেছেন, ‘আমার দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল (বিএনপি)-এর প্রাণ তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের অনুভূতির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে গত ৩ আগস্ট, ২০১৯ তারিখ সংসদের দাপ্তরিক ফরম্যাটে করা আমার পূর্বাচলের প্লটের আবেদনটি আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’ তাহলে তিনি আর প্লট চাচ্ছেন না। এটা ভালো। কিন্তু এই ভালোটা করতে গিয়ে কি লিখলেন তিনি? সেটা পড়লে বোঝা যায়- এতদিন পর তিনি বুঝতে পেরেছেন দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনুভূতি প্লট আবেদনের পক্ষে নয়। এটা বুঝতে ওনার এতদিন লাগলো? যে চিঠি বাইরে চলে আসার জন্য তিনি এতটা চটে গেলেন, এখন দেখা যাচ্ছে- সেটা ওনার জন্য ভালোই হয়েছে। এর মাধ্যমে উনি, ওনার মহাসচিব, ওনাদের গুরুত্বপূর্ণ শুভানুধ্যায়ীরাও বুঝতে পারলেন- তাদের চিন্তার সঙ্গে তৃণমূলের অনুভূতির বিশাল ফারাক।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই উপলব্ধি কি আমাদের রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসবে? বিএনপির অন্য এমপিরা কি প্লটসহ রাষ্ট্রীয় সুবিধাগুলো পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে না? তখন কি তৃণমূলের অনুভূতি তীব্রভাবে পদদলিত হবে না?

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :