এফআর টাওয়ারের জমির মালিকসহ তিনজন কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:৩৩ | প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:৩০

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা জাল-জালিয়াতির মামলায় ভবনটির জমির মালিকসহ তিনজনের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আসামিরা হলেন, প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইমারত পরিদর্শক আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী নান এবং সাবেক উপ-পরিচালক (স্টেট) মুহাম্মদ সওগত আলী।

হাইকোর্ট থেকে জামিন বাতিল হওয়া এই আসামিরা রবিবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন।

বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটিতে একই আদালত গত ২০ আগস্ট ফারুকের এবং পরবর্তী সময়ে অপর দুই আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে আবেদন করলে গত ৫ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন বাতিল করে এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে গেলেও আপিল বিভাগের চেম্বর বিচারপতি তা বহাল রেখে গত ১১ নভেম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেন। ওই আদেশ অনুযায়ী রবিবার আসামিরা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে একজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৩ জন। এছাড়া, ওই ঘটনায় আহত হয়ে ফ্যায়ারম্যান সোহেল রানাও মারা যান।

ওই ঘটনায় দুদকের করা মামলায় অভিযোগ, ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক, টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম এবং রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার লোভে নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে টাওয়ারে ভবিষ্যতে থাকা সম্পত্তি ও লোকজনের জানমালের নিরাপত্তার বিষয় লক্ষ্য না রেখে কেবল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার মানসিকতায় চরম অবহেলা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ কার্যকলাপের ফলে এফ আর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিরীহ পুরুষ ও মহিলা এবং শতাধিক লোক আহত মারাত্মভাবে আহত হন। এছাড়াও এফ আর টাওয়ারের বিল্ডিংসহ পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং সংলগ্ন তথা রাষ্ট্রের সম্পত্তি মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

১৯৯৬ সালের এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদিত নকশা ভবনের উচ্চতা ১৮ তলা, যদিও নির্মাণ করা হয়েছে ২৩ তলা। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে এফ আর টাওয়ারের মালিকপক্ষ রাজউকের কাছে আরেকটি নকশা জমা দেয়। ১৯৯৬ সালে মূল যে নকশা রাজউক অনুমোদন দিয়েছিল তার সাথে নির্মিত ভবনটির অনেক বিচ্যুতি রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই

লভ্যাংশের টাকা আত্মসাৎ মামলা: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে: প্রধান বিচারপতি

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারও প্রতারণা, এক সপ্তাহ নিষিদ্ধ আইনজীবী 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণ মামলায় মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

টিপু-প্রীতি হত্যাকাণ্ড: আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল দুদকের

পরীমনির আবেদনে পেছাল মাদক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :