শিশু প্রহরে বই কেনায় ব্যস্ত শিশুরা

শিশুদের কলরবে মুখর শিশু চত্বর। শিশু প্রহরে শুধু আনন্দ উদযাপনই নয়, প্রায় প্রত্যেকেরই সঙ্গী হচ্ছে বই। মেলার শেষের দিকে এসে পছন্দের বই কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছে শিশুরা।
শুক্রবারের শিশুপ্রহরে বেলা এগারোটা থেকেই শিশু চত্বরের মঞ্চে শিশুরা দলবেঁধে আনন্দ উদযাপন করছে। এর পাশাপাশি ঘুরে দেখছে আর বাছাই করে কিনছে বই।
রংবেরঙের স্কুল ইউনিফর্ম পরা শিশুদেরকেও দেখা গেছে সেখানে। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে এসেছে পছন্দের বই কিনতে।
সকাল থেকে রোদ পড়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। শিশুরাও ছোট্ট ছাতার নিজেদেরকে রোদের আড়াল করে হাতে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে ছুটছে অন্য বইয়ের স্টলে।
রাক্ষসের একটি বই কেনা শেষে তৃপ্তির হাসিতে সিনথিয়া বলল, ‘আজ বেশ মজা হয়েছে রাক্ষস আমার অনেক পছন্দের।’
‘শিশু প্রহরে’ শিশুদের ভিড়ে রয়েছে বড়রাও। অভিভাবক কেউ এসেছে দেখতে কিংবা ছোটদের জন্য বই কিনতে।
ভূতের বই ভূতের বই বলে ছোট ঋষিতা চিৎকারে ভূত দেখা বইটি কিনে দিলো তার মা। ঋষির মা জানাল, প্রতি রাতে ভূতুড়ে গল্প শুনে ঘুমানোর অভ্যাস তার। জেদ চেপে গেছে তাই কিনে দিয়েছি। তবে বর্ণমালার বই আর বীরশ্রেষ্ঠ দের বই কিনে দিয়েছি।
আসাদ চৌধুরীর পাবলো পিকাসো বইটি পদক্ষেপের স্টল থেকে কিনে ছোট্ট মাহা বেশ খুশি। কারণ তার খুব আঁকতে ভালো লাগে। মাহা বলল, ‘আমার অনেকগুলো রং পেন্সিল আছে। আমি সেগুলো রাঙিয়ে দেই। বাবার কাছে গল্প শুনেছি পাবলো পিকাসোর। তাই ওনাকে নিয়ে পড়তে এই বইটা কিনেছি।'
মেলার একেবারে শেষে এসে শিশু চত্বরে প্রায় প্রতিটি স্টলেই বই কেনার ধুম পড়েছে। ময়ূরাক্ষী স্টলে বিক্রয় কর্মী মুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে পুরো মেলায়। আজ প্রায় প্রত্যেকেই বই কিনেছে। এখন সারা দিনের অপেক্ষা।
(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/টিএটি)

মন্তব্য করুন