করোনায় মৃতদের স্মরণ করলো চীন
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মারা যাওয়াদের প্রতি শোক প্রকাশের লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম স্থগিত করে দেশব্যাপী তিন মিনিটের নীরবতা পালন করেছে চীন। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩,৩০০ এর বেশি মানুষের স্মরণে উৎসর্গ করা হয় শনিবার দিনটিকে।
চীনের স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় সারা দেশের মানুষ দাঁড়িয়ে তিন মিনিটের নীরবতা পালন করে মৃতদের স্মরণে। এসময় একসাথে সকল গাড়ি, ট্রেন এবং জাহাজের হর্ন বাজানো হয়, বাজানো হয় বিমান হামলা করার সময়কার সতর্কতামূলক সাইরেন। অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। খবর বিবিসির।
হুবেই প্রদেশের উহান শহরে গত বছরের শেষদিকে প্রথমবার প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তারপর মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। চীনের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র উহানে সকাল ১০ টায় সকল ট্রাফিক লাইটে তিন মিনিটের জন্য লালবাতি জালানো হয়।
চীনের সরকার এটিকে শহীদদের (ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৪ জন স্বাস্থ্য কর্মীর) প্রতি সম্মান জ্ঞাপনের একটি সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর মধ্যে লি ওয়েনলিয়াং নামের একজন ডাক্তারও ছিলেন, করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য যাকে চীনের সরকার তিরস্কার করেছিল।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বেইজিংয়ের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা তাদের পোশাকে বুকের কাছে সাদা ফুল আটকে নীরবতা পালন করেন।শনিবারের এই স্মরণ অনুষ্ঠান চীনের বার্ষিক কিংমিং উৎসবের সাথে একই দিনে করা হয়। কিংমিং উৎসবে লাখ লাখ চীনা পরিবার তাদের পূর্বসূরিদের স্মরণ করে থাকে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনের অন্যান্য এলাকাতেও ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করা হয়েছে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, শিথিল করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম। চীন ধারণা করছে তাদের দেশে যেই স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তা তারা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। দুই মাসের বেশি সময় লকডাউন থাকার পর গত সপ্তাহে আংশিকভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় উহান।
শনিবারে চীন জানায় তাদের দেশে নতুন ১৯ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৮ জনের দেহেই ভাইরাস এসেছে বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে। বিদেশ থেকে যেন চীনের ভেতরে ভাইরাস আক্রান্ত কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চীন বিদেশিদের দেশে আসায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ঢাকা টাইমস/০৪এপ্রিল/একে