আইসোলেশন ওয়ার্ডের জানালা ভেঙে পালালেন আসামি!
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি থাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক আসামি জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি টের পায়। পরে তাকে আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম সুজন মল্লিক (২৫) ওরফে শাকিল। তিনি যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বাঁশতলায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের গাজীপাড়ায়।
হাসপাতাল ও পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আদালত থেকে সুজন মল্লিককে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দেয়ায় কারাগারের সহকারী সার্জন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসামিকে ভর্তি করে আইসোলেশনে পাঠায়।
হাসপাতালের আইসোলেশনে রবিবার রাত ৮টা থেকে পুলিশের দায়িত্ব পালন করছিলেন ন্যান্সনায়েক নাজমুল এবং কনস্টেবল আসাদ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের আইসোলেশনের দায়িত্বরত নার্স তুলি রাত নয়টার দিকে আসামি সুজনকে পানি দেয়। এরপর রাত পৌনে ১০টার দিকে খাবার দিতে গেলে দরজা ভেতরে লক করা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের জানায়। এ সময় তারা দরজা খোলার চেষ্টা করে না পেরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে পায়নি। এ সময় পেছনের জানালার গ্রিল ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান তারা।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসলিম আলমসহ পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল ও কারা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ আইসোলেশনে থাকা আসামি পালিয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুষার কান্তি খানও হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা আসামি সুজনের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুর রহমান জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামিকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি খুব দ্রুত তাকে আটক করতে সক্ষম হবো।
ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/প্রতিনিধি/এমআর