ওনারা নেতা, ওনারাই আমাদের ভগবান

নাকে খত দিয়ে যারা স্রেফ দলবাজি করেন। নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কেবল নিজের আখের গোছান। সেই সব নেতা দিয়ে আর যায় হোক সাধারণ গণমাধ্যমকর্মীর ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। এই করোনার মহাসঙ্কটে বিষয়টি আরও স্পস্ট হয়ে গেছে। হাতেগোনা দুই-তিনজন বাদে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা ঘরে, না হয় ফেসবুকে কিংবা টকশোতে বিপ্লব করছেন। বাস্তবে তারা কোথাও নেই।
করোনায় এ পর্যন্ত কতজন গণমাধ্যমকর্মী অসুস্থ হলেন। তারা চিকিৎসা পেলেন কিনা। তাদের পরিবারের সদস্যদের অবস্থা কী। করোনায় একের পর এক পত্রিকা বন্ধ হলো। কিন্তু সেসব যায়গায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের বেতন ভাতা পেল কিনা। যেসব পত্রিকা নিয়মিত বের হচ্ছে, টেলিভিশন স্টেশন চলছে- সেসব যায়গাও ঠিক মতো বেতন হচ্ছে কিনা? এসব খবর রাখার কেউ নেই। বিপর্যয়ে, সঙ্কটে পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই।
দুই-তিনজন বাদে বেশির ভাগ শীর্ষ নেতা গণমাধ্যমকর্মীর দুরাবস্থার খবর রাখেন না। তারপরেও ওনারা আমাদের নেতা। আমাদের কাছে তারাই ভগবানতুল্য। ওনারা আমাদের দণ্ডমুণ্ডেরর কর্তা। ওনারা জ্ঞান দেন, নীতি-নৈতিকতার কথা বলেন। আমরা শুনি। ভোট আসলে ওনারা প্রার্থী হন। এই করবেন, ওই করবেন বলে আশ্বাস দেন। দিন শেষে সবার আগে সরকারের কাছ থেকে নিজে প্লট বাগিয়ে নেন।
আমরাও কম দায়ি না। আমাদের অনেকে আবার ৫০০ বা ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে ওনাদের ভোট দেই। নির্বাচিত করি। ভেবে দেখেন, কি করবেন আগামীতে? নেতা নির্বাচন করতে ভুল করলে এভাবেই ধুঁকে ধুঁকে মরবেন। মরার সময়ও পাশে কাউকে পাবেন না। এখন যেমন করোনায় মারা গেলে খাটিয়াটাও মেলেনা, জানাজাও হয়না। পরিবারের আপনজনরা মৃতদেহের কাছে আসেনা। আমাদের অবস্থাটাও হবে তেমন।
লেখক: শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক
ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এসকেএস

মন্তব্য করুন