বৃদ্ধাশ্রমে প্রিয়া আমানের ঈদ উপহার

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ মে ২০২০, ১২:৪৯
অ- অ+

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দি সবাই। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সাধারণ মানুষের মতো ভালো নেই বৃদ্ধাশ্রমের মানুষগুলো।আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন সবাই।

কিন্তু অনেকেই আছেন যারা তাদের পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে দূরে একা ঈদ করবেন, কেমন কাটবে তাদের ঈদ? বলছি বৃদ্ধাশ্রমে থাকা অসহায় সেই বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের কথা।

আর কদিন পরেই ঈদুল ফিতর। তবুও দীর্ঘ দিন ধরে বৃদ্ধাশ্রমে ঈদ পালন করেছেন অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত বাবা-মা। বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধদের সন্তানরা বেশির ভাগই প্রতিষ্ঠিত। এর পরও তাদের ঈদ করতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে।

আর এই বিশেষ দিনটিতে হতাশা আর শূন্যতা নিয়ে সন্তানের স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এসব মানুষ। বৃদ্ধাশ্রমের সেই সব মানুষদের সাথে ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করলেন অভিনেত্রী প্রিয়া আমান। বৃদ্ধাশ্রমের ১০০ জন পরিবারের জন্য নিয়ে গেছেন ইফতার এবং তাদের ঈদের পোশাক। তার মধ্যে ছিল শাড়ি কাপড়, লুঙ্গি ও থ্রি পিচ।

অনেক নামী-দামী বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চাকরিজীবী যারা এক সময় খুব বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন, বৃদ্ধ বয়সে এসে নিজের সন্তানের দ্বারাই অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে বৃদ্ধাশ্রমের স্থায়ী বাসিন্দা হতে বাধ্য হচ্ছেন। পিতা মাতার অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে না, যোগ করে বলেন এ অভিনেত্রী।

প্রতিটি মানুষকে বৃদ্ধাশ্রমের মায়েদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রিয়া আমান। তিনি বলেন, আমি এখানে এসব মায়েদেরকে নিজের সাধ্য মতো পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি একটি দিন ইফতার আর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। আপনার যদি ১ টাকার সামর্থ থাকে তা নিয়ে এগিয়ে আসুন। আনন্দ ভাগাভাগি করলে দিগুন হয়, আনন্দের সাগর হয়। আসুন তাদের পাশে দাঁড়াই।

প্রিয়া বলেন, এই ঈদে শপিং করার কি কোনো দরকার আছে? আমি মনে করি তার দরকার নেই। আমাদের সকলেরই কিছু আত্মীয় রয়েছেন যারা কিছুটা আর্থিক সহায়তা পেলে খুশি হবেন। তাদের সহায়তা করুন। ঈদ আনন্দ নিয়ে আসে ঠিকই। তবে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবার আনন্দের কোনো অনুভূতি থাকার কথা না।

বুধবার প্রিয়া আমান কাটিয়েছেন উত্তরা সংলগ্ন মৈনারটেক এলাকায় অবস্থিত "আপন নিবাস" নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমের একশত জন অসহায় মানুষের সঙ্গে। এখানে আছেন বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী ও বিকলাঙ্গ শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা কিছু নারী।

এই প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদককে প্রিয়া বলেন, এইসব অসহায় মা, বিকলাঙ্গ ও প্রতিবন্ধী শিশু এবং বিভিন্ন ভাবে ধর্ষিতা গর্ভবতী নারীর পাশে দাঁড়িয়ে মানসিক তৃপ্তি পেয়েছি। এরা বাস্তবিক অর্থেই অসহায়।

এসব এদের খুবই দরকারি ছিল। উনারা আজ হেসেছেন। আমার অনুরোধ আপন নিবাস, সহ অন্যকোন বৃদ্ধাশ্রমে যেনো আর কোন মা না আসেন। এরা যেনো সন্তানদের ভালোবাসায় সন্তানদের কাছেই থাকতে পারেন।

ঢাকাটাইমস/২২মে/এলএম/এসকেএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চাঁদা না দেওয়ায় পল্লবীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ – গ্রেপ্তার ৩
ছন্দে ফিরলেন লিটন, সমতায় ফিরল টাইগাররা
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার
নিবন্ধন স্থগিত হলেও ইসির তফসিলে থাকছে ‘নৌকা’, অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না ‘শাপলা’
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা