পাঁচ শতাধিক নমুনা সংগ্রহেও সরকারিকরণ হননি স্বেচ্ছাসেবী শিবলী

করোনা মহামারীতে আতঙ্কিত না হয়ে সাহসিকতার সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ করে যাচ্ছেন আনিস আহমেদ শিবলী নামে এক যুবক। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন তিনি। অথচ সরকার দুই ধাপে স্বেচ্ছাসেবীদের সরকারিকরণ করলেও তিনি এ সুবিধা পাননি।
শিবলী কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে করোনা দুর্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ শুরু করেন শিবলী। ওই সময় নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট করোনা আক্রান্ত হন। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি একাই নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। যা এখনো চলমান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বুথে নমুনা সংগ্রহ শেষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচশতাধিক নমুনা সংগ্রহ করেছে শিবলী।
শিবলী বলেন, ‘জীবাণুর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ সাময়িক। এই দু:সময় একদিন কেটে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ আমাকে করোনা মোকাবিলায় সাসসিকতার সঙ্গে কাজ করার সাহস ও শক্তি দিয়েছে।’
তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রথম ধাপে ১৪৫ জন ও দ্বিতীয় ধাপে ৫৭ জন সেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু আমি প্রকৃত সেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হয়েও এখনো নিয়োগ পাইনি। প্রকৃত স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আমাকে যেন নিয়োগ দেওয়া হয় সেজন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামির মো. হাসিবুস ছাত্তার বলেন, ‘শিবলীকে আমি চার মাস আগে যখন সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য বলি তখন নি:সংকোচে সে রাজি হয়ে যায়। আন্তরিকতার সঙ্গে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এখন সে একাই নমুনা সংগহ করে যাচ্ছে। তার মতো স্বেচ্ছাসেবীর চাকরি যদি সরকারিকরণ হয় তাহলে জনগণ উপকৃত হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/পিএল)

মন্তব্য করুন