পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে: অর্থমন্ত্রী

বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।
পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ কবে কাজ শেষ হবে এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২২ সাল পর্যন্ত লাগবে। ২০২২ সাল পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার জানামতে ২০২১ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলা হয়েছিল। সেভাবেই কাজটি এগোচ্ছিল, কাজটি সুন্দরভাবে চলছিল। আমাদের ধারণায় ছিল ২০২১ সালের মাঝে এই কাজ শেষ হবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সময় বেশি লাগছে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় বেশি লাগার জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল সেতু ও নদীশাসন কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক সংস্থার মেয়াদ আরও ৩৪ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায়। এজন্য ব্যয় হবে ৩৪৮ কোটি এক লাখ ৩২ হাজার টাকা।
করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে কাজ না করতে পারায় ৩৪ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিস্তারিত আলোচনা করেই এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগেও দুই দফা পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যয় বেড়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সময় বাড়িয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। নদীশাসনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত হারে বাস্তবায়ন না হওয়ায় সময়সীমা আবার বাড়িয়ে করা হয় ২০২১ সালের জুন মাস। যদিও চীনের ঠিকাদারেরা আগেই বলে দিয়েছিলেন যে, ২০২২ সালের আগে কাজ শেষ করা যাবে না।
এদিকে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুনর্বাসন) মোহাম্মদ ফরিদুল আলমের নিয়োগের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছে সরকার।
গত ২৩ আগস্ট বা যোগদানের তারিখ থেকে এই কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়িয়ে বুধবার আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদুলকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দুই বছরের চুক্তিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর দুই দফা তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/জেআর/জেবি)

মন্তব্য করুন