অন্তঃসত্ত্বা নারীর খাদ্যনালী ছিদ্র করে ফেললেন নার্স

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৪৭| আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:৫৩
অ- অ+

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাহানারা বেগম নামে এক অন্তঃসত্তা নারীর ডায়লেশন অ্যান্ড কিউরাটেজ (ডিঅ্যান্ডসি) করতে গিয়ে খাদ্যনালী ছিদ্র ফেলেছেন শিরিন আক্তার নামে এক নার্স। জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই নারী বর্তমানে বরিশালের বেসরকারি মোখলেছুর রহমান হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. শাহ আলম তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত নারীর স্বামী সোহেল হাওলাদার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জাহানারা উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা বেগম সম্প্রতি অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরামর্শের জন্য আসেন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শিরীন আক্তার জাহানারাকে ডিঅ্যান্ডসি করার পরামর্শ দিলে তিনি রাজী হন। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়েই নার্স শিরিন আক্তার নিজেই ডিঅ্যান্ডসি করেন।

ডিঅ্যান্ডসি করার সময় জাহানারা বেগমের পেটের ভিতরের অংশে খাদ্যনালীর একাধিক অংশ ছিদ্র করে ফেলেন শিরিন আক্তার। খাদ্যনালী ছিদ্র হওয়ার কারণে জাহানারা বেগমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং মলমূত্র পেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর স্বজনরা জাহানারা বেগমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের মোকলেছুর রহমান হাসপাতালে নিয়ে যান।

মোখলেছুর রহমান হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম তালুকদার বলেন, ‘ডিঅ্যান্ডসি করার সময় জাহানারা বেগমের খাদ্যনালীর নিচের একাধিক অংশ ছিদ্র হয়ে গেছে। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। মলমূত্র ত্যাগ করার জন্য তার পেটের বাইরে একটি ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। আগামী তিন মাস পর তাকে ফের অপারেশন করা হবে।’

ওই নারীর স্বামী সোহেল হাওলাদার জানান, চিকিৎসার জন্য জাহানারা বেগমের অনেক টাকা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ঋণ করে ৪০ হাজার টাকা চিকিৎসার জন্য খরচ করেছেন। এখন আর তার সামর্থ নেই।

নার্স শিরীন আক্তার বলেন, ‘আমার ভুল হতেই পারে। এ ব্যাপারে জাহানারা বেগমের স্বজনদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এরপরও আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ দিল বুঝতে পারছি না।’

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘আমি এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
ঢাকা-বেইজিং অংশীদারিত্ব এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বেইলি রোডে ৩৪ কোটি দামের কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিদেশি মদসহ ৪ জন আটক
দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২০ ডলার, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা