শীতের শুরুতেই কদর বেড়েছে ভাপা পিঠার

একরামুল হক, সিরাজগঞ্জ
  প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৩৬| আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৫৭
অ- অ+

বাতাসে হিমেল অনুভূতি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে চলে এসেছে শীত। প্রতিদিনেই একটু একটু করে বাড়ছে শীত। শীতের আমেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কদর বেড়েছে নানা রকমের শীতের পিঠার। পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় জমতে শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জ শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। ভোর ও সন্ধ্যায় সেখানে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমছে মানুষের।

সিরাজগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা যায়, এসএস রোড, চৌরাস্তা, খলিফা পট্টি, মজিব সড়ক, বড় বাজার, কালিবাড়ী, মতিন সাহেবের ঘাট, একডালা, বাজার স্টিশন প্রভৃতিতে গড়ে উঠেছে শতাধিক পিঠার দোকান। এসব দোকানে মূলত ভাপা ও চিতইপিঠা হচ্ছে। প্রতিটি পিঠার দাম ৫-১০ টাকা। ভাপা পিঠাতে খেজুরের গুড় ও নারকেল দেওয়া হচ্ছে। শীতের সকাল-সন্ধ্যা ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠার স্বাদ পেতে রিকশাচালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। অনেকে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

দরিদ্র লোকজন এসব ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান দিয়েছেন। পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারীও দোকানে পিঠা বিক্রি করছেন। এর মাধ্যমে তারা বাড়তি আয় করতে পারছেন।

পিঠা বিক্রতা হারুন জানান, প্রতি শীতের মৌসুমে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০-১৭০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এ থেকে খরচ বাদে ৫০০-৭০০ টাকা লাভ হয়।

সুজন বলেন, আমি দিনমজুরি হিসাবে দোকানে কাজ করি। শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় করতে পারছি।

পিঠা খেতে আসা সজিব বলেন, বিকাল হলে চপ, শিঙাড়া, পুড়িসহ টুকটাক কিছু খেতাম। কিন্তু ভাপা পিঠা পাওয়ার পর থেকে আর এগুলো না খেয়ে এখন থেকে পিঠা কিনে খাই।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বের/পিএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী মাহিরা বিনতে পুলিকে সাভার থেকে উদ্ধার
পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী পুলি, থানায় জিডি
আমেরিকায় গিয়েই ‘নিরুদ্দেশ’, সরিয়ে দেওয়া হলো গুলশানের সেই ওসিকে
স্ত্রী তালাক দেওয়ায় এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা