স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিশোধ নিতেই অটোচালককে হত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:১১ | প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৬

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর সারদাগঞ্জ এলাকায় অটোরিকশাচালক এক যুবকের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন প্রতিবেশী অপর অটোরিকশাচালক। এরই প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামী। আর সুযোগ মতো তার পরিকল্পনাতেই হত্যার শিকার হন ভিকটিম ওই অটোরিকশাচালক।

শনিবার দুপুরে এ নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন দাবি করে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) জাকির হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়ার বড়তিনকূল গ্রামের আবু জাফর ওরফে আকাশ, জামালপুরের হরিনাপাই গ্রামের ফরহাদ হোসেন, বগুড়া জেলার মালগ্রাম গ্রামের জহিরুল ইসলাম ওরফে শাকিল এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর গ্রামের রাশেদ আহম্মেদ।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাকির হোসেন জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিটি করপোরেশনের সারদাগঞ্জ এলাকায় রুবেল হোসেন নামে ওই অটোরিকশাচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই হত্যার ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, ভিকটিম রুবেল হোসেন প্রতিবেশী এক নারীকে প্রায় উত্ত্যক্ত করত। এরই জের ধরে ওই নারীর স্বামী আবু জাফর ওরফে আকাশের সঙ্গে রুবেলের শত্রুতা তৈরি হয়। এরই প্রতিশোধ নিতে আবু জাফর ওরফে আকাশ ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সহযোগীদের নিয়ে রুবেলকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে অটোরিকশাযোগে সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট এলাকায় পৌঁছে একটি পতিত জমির ওপর রুবেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ শুক্রবার রাতে কাশিমপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপর আসামি ফরহাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও ইজিবাইকের ব্যাটারি ক্রেতা রাশেদ আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আকাশের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত রুবেল নওগাঁর রানীনগর থানার দেবরাগাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় অটোরিকশা চালাত বলে জানা গেছে।

এদিকে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানা পুলিশ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে সাত চোরাই মোটরসাইকেলসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এরা হলো, ঢাকার আশুলিয়া থানার উত্তর গাজীর চট এলাকার দুর্জয় ওরফে সুজন , লক্ষীপুরের রায়পুর থানার মধ্য কেরুয়া এলাকার ইলিয়াস, হারুন অর রশিদ , তার ভাই মো. আল আমিন এবং নরসিংদীর রায়পুর থানার হাসনাবাদ এলাকার মো. রাজীব ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি কোনাবাড়ি বিসিক এলাকায় একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত তিন দিন অভিযান চালিয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাখাওয়াত ইমতিয়াজ চারজনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কাশিমপুর, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর, ঢাকার আশুলিয়া, ময়মনসিংহের ভালুকা ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭ফেব্রুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :