মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে অনন্য ইউআইটিএস

মো. ওমর ফারুক
  প্রকাশিত : ১৪ মে ২০২১, ১৫:৫৩
অ- অ+

দেশে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সরাসরি পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা, ভর্তি কার্যক্রম ও পরীক্ষা গ্রহণসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় এগিয়ে রয়েছে ইউআইটিএস।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুসারে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সুচারুরূপে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা ও প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে ইউআইটিএসকে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ইউআইটিসের শিক্ষকমণ্ডলী অতি যত্ন সহকারে আন্তর্জাতিক মানের ক্লাস কন্টেন্ট তৈরি করে অনলাইন মাধ্যমে প্রায় সকল শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে নিরাপদে তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারছেন। পাশাপাশি সেশনজটের ভয়াল পরিস্থিতির কবল থেকেও নিষ্কৃতি পাচ্ছেন।

অনলাইন মাধমে টাকা জমাদান ও ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করায় দিন-দিন শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্ঞান চর্চা, শিক্ষা অর্জন ও গবেষণার নন্দিত কেন্দ্র হিসেবে ইউআইটিএস ইতোমধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তা জগতের সুপরিচিত নাম পিএইচপি ফ্যামিলির কর্ণধার সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান উচ্চশিক্ষাকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য সহজলভ্য করার মহৎ উদ্দেশ্যে ইউআইটিএস প্রতিষ্ঠা করেন।

২০০৩ সালের ৭ আগস্ট “তব অতীত থেকে ভবিষ্যত হবে উত্তম” এই ঐশীবাণীকে ধারণ করে রাজধানীর গুলশানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু করেছিল। বর্তমানে ঢাকার অভিজাত গুলশান-বারিধারার জে ব্লক সংলগ্ন ভাটারা মধ্যনয়ানগরে মনোরম পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১০৪ কাঠা নিজস্ব জমির ওপর নির্মিত দুটি ব্লকের বিশাল নয়তলা সুরম্য ভবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় এ বিশ্ববিদ্যলয়ের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

ইউআইটিএসের কোথাও কোনো শাখা ক্যাম্পাস নেই। “নিরবে করো জাতির সেবা” এই শ্লোগানে সমৃদ্ধ পিএইচপি ফ্যামিলির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই এই শিল্প পরিবারটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য মূল্যবান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

ইউআইটিএস তার হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে বিশ্বমানের উচ্চতর জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রশংসনীয় সাফল্য প্রমাণ করে আসছে। ইউআইটিএসয়ের সুখ্যাতি শুধু দেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মনোযোগই আকর্ষণ করেনি; বরং বিদেশী শিক্ষার্থীদেরও আকৃষ্ট করেছে।

এ প্রচেষ্টার পেছনে ইউআইটিএস ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের হৃদয় উজ্জীবক পথ-নির্দেশনা ও বাণী হচ্ছে: “কঠোর সাধনা এবং মহৎ উদ্দেশ্যের সাথে স্রষ্টার করুণা থাকলে অলৌকিক ফলদান অনিবার্য”। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এই বাণী সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব পালনে সাহসী, শক্তিশালী ও আশাবাদী করেছে।

নিজেকে চেনা, নিজের অন্তর্নিহিত মহাশক্তিকে আবিষ্কার করা এবং কঠোর সাধনার পথ বেছে নিয়ে মানুষকে ভালোবাসা এবং অনেক কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা, ধর্মের একনিষ্ঠ ও শান্তিময় চর্চার মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য অক্ষুন্ন রাখা এ মহান মনীষীর জীবন-দর্শনের মর্মকথা।

সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের বিখ্যাত মনীষীদের স্বপ্ন ধারণ করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় সমাবর্তনে যথাক্রমে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এ পি জে আবদুল কালাম ও আধুনিক মালয়েশিয়ার স্বপ্নদ্রষ্ট্রা তুন ড. মাহাথির বিন মুহাম্মদকে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে এনেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হওয়ায় এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি সমাবর্তনেই সাবেক ও বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রয়াত মো. জিল্লুর রহমান এবং এডভোকেট মো. আব্দুল হামিদ অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেছেন।

সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ইউআইটিএসের আগামী সমাবর্তনেও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনীষীকে আমন্ত্রণ জানাবেন। তিনি মনে করেন, ইউআইটিএয়ের প্রতিটি সমাবর্তনে বিল গেটসের মতো ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করে এর শিক্ষার্থীদের সাফল্যের চূড়ায় আরোহণ করতে দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন।

সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তার নিজ জীবন, পরিবার ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে মানসম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন, ইউআইটিএসও এই কোয়ালিটি দর্শনের বাইরে যেতে দেননি।

শিক্ষার মান সুনিশ্চিতকরণে সার্বক্ষণিক সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মাননীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে এর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী মিসেস তাহমিনা রহমানসহ সুযোগ্য সাত সন্তান- জনাব মোহাম্মদ মোহসিন, জনাব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, জনাব মোহাম্মদ আলী হোসেন, জনাব মোহাম্মদ আমির হোসেন, জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জনাব মোহাম্মদ আকতার পারভেজ। তাঁরা সবাই বিশ্বের প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে ইউআইটিএস বিওটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সফল প্রক্টর ও স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।

বুয়েটের সুনামধন্য অধ্যাপক ও দেশের শ্রেষ্ঠ কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড. এম কায়কোবাদ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী, রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডালিস্ট এডভোকেট ড. মো. আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ দেশসেরা শিক্ষাবিদগণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আন্তর্জাতিক মানের খ্যাতিমান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের নেতৃত্বে রয়েছে সুদক্ষ ও চৌকশ প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত), খ্যাতিমান গবেষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান ভূঁইয়া ও মাননীয় কোষাধ্যক্ষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দক্ষ প্রশাসক অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ বিচক্ষণতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছেন।

দেশ-বিদেশে ডিগ্রিপ্রাপ্ত একদল মেধাবী ও বিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানসহ শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের প্রতি খুবই আন্তরিক ও যত্নশীল। ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকগণ সবসময় সতর্ক ও সচেতন থাকেন যেন, থিওরিটিক্যাল ক্লাস শেষ হওয়ার পর পরই শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসগুলো উপভোগ করতে পারেন।

শিক্ষকমণ্ডলীর নিবির পরিচর্যায় ইউআইটিএস-এর শিক্ষার্থীরা পাঠ্যক্রমভূক্ত ও পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে বেশ মনযোগী। ফলে তারা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এজন্য আদর্শ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় ইউআইটিএস শীর্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর ও সেমিস্টার ভিত্তিক আয়োজন করা হয়ে থাকে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ। প্রত্যেক চূড়ান্ত বর্ষের ছেলে-মেয়েরা আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যন্তরীণ ও বহিস্থ: বিশেষজ্ঞগণের উপস্থিতিতে তাদের টার্ম পেপার ও ইন্টার্ণশিপ থিসিস ডিফেন্স করে থাকেন। ইউআইটিএসের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিষয়ে ৮টি জাতীয় প্রতিযোগিতায় পুরষ্কৃত হয়েছেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্ভাবন হচ্ছে রোবট-সহ আধুনিক সব প্রযুক্তির। ইউআইটিএস-এর শিক্ষার্থীরা জ্ঞান-গবেষণায় যেভাবে তৎপর, তাতে একদিন তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হবার গৌরব অর্জন করবে।

সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দর্শন, মিশন-ভিশনকে লালন করে দেশপ্রেমসহ যোগ্য ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তুলে দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের ১৬টি প্রোগ্রামে গত প্রায় ১৮ বছরে আঠারো হাজারের অধিক গ্র্যাজুয়েট সফলতার সাথে তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে দেশ-বিদেশে মর্যাদাপূর্ণ কর্মজীবনে আত্মনিয়োগ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ৫০ জন ইউআইটিএস গ্র্যাজুয়েট, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বৃত্তি নিয়ে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করছেন।

সূচনালগ্নে ইউআইটিএস ৩টি অনুষদের অধীন ৪টি বিভাগে মাত্র স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ৪টি অনুষদের অধীন ১০টি বিভাগে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা ২৪৭জন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বের প্রায় দশটি দেশের শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সদা অবদান রেখে চলেছেন। বর্তমানে নাইজেরিয়া, সোমালিয়া ও মৌরিতানিয়ার মোট ২৪ জন বিদেশী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়ন করছেন।

ইউআইটিএস-এ বর্তমানে ১০৭ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। তাদের মধ্যে চারজন এমফিল ও দশজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ রয়েছেন। বর্তমানে ইউআইটিএস-এর শতভাগ শিক্ষকই পূর্ণকালীন। তাঁরা দেশ-বিদেশের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে এখানে শিক্ষকতার মহান পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষকগণকে দেশ-বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, গৃহীত পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইউআইটিএস-এর অধিকাংশ শিক্ষক এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নতুন নতুন শাখায় অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

বর্তমানে ইউআইটিএস-এর অনুষদ সংখ্যা ৪টি। এগুলো হলো- ১. সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ; ২. বিজনেস অনুষদ; ৩. লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোস্যাল সায়েন্সেস অনুষদ; ৪. আইন অনুষদ।

অনুষদগুলোর অধীন ১০টি বিভাগে ১৬টি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিভাগগুলো হলো- ১) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; ২) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; ৩) ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; ৪) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ; ৫) ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগ; ৬) ফার্মেসি বিভাগ; ৭) বিজনেস স্টাডিজ বিভাগ; ৮) ইংরেজি বিভাগ; ৯) সমাজকর্ম বিভাগ এবং ১০) আইন বিভাগ।

ইউজিসির নির্দেশনা অনুসারে ইউআইটিএসের বিভাগগুলোতে বছরে দুটি সেমিস্টারে পাঠদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে থাকে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগগুলোর চাহিদা অনুযায়ী রয়েছে আধুনিক সব শিক্ষাপোকরণ ও উন্নতমানের ল্যাব। এখানে হাই কনফিগারেশন সম্বলিত সুপার কম্পিউটার ল্যাব, রোবটিক ল্যাব, বিভাগীয় কম্পিউটার ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব, সিভিল ল্যাব, ফার্মেসি ল্যাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাবসহ ৩৬টি অত্যাধুনিক ল্যাব রয়েছে। আরো রয়েছে আইন অনুষদের জন্য একটি আন্তর্জাতিকমানের মুটকোর্ট।

ইউআইটিএসের রয়েছে আধুনিক সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। সুফি দায়েম উদ্দীন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রন্থাগার এবং রাহাতুন্নেছা বিজনেস ও লিবারেল আর্টস গ্রন্থাগার। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশে জ্ঞানাহরণ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারেন।

প্রতি সেমিস্টারেই বিভাগভিত্তিক বাস্তব চাহিদা মোতাবেক বই ক্রয় করা হয়ে থাকে। গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই বই সংগ্রহ করে তাদের জ্ঞানভাণ্ডারকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারে, পারে জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় বিচরণ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি সেমিনার লাইব্রেরি রয়েছে। জ্ঞানাহরণ পদ্ধতি সহজলভ্য করতে সদ্য ডাটাবেইজ সম্পন্নকৃত ই-লাইব্রেরি সেবা প্রদান প্রক্রিয়া চলমানাধীন।

২০১১ সালে ইউআইটিএসে প্রতিষ্ঠা করা হয় “ইউআইটিএস রিসার্চ সেন্টার” নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র। এ পর্যন্ত ১৩টি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে এ কেন্দ্র থেকে, যার প্রতিটি প্রবন্ধই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামিদামি শিক্ষক ও গবেষক দ্বারা রিভিউকৃত। এছাড়া এ কেন্দ্র থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি সেমিস্টারে প্রকাশিত হয় ইউআইটিএসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-গবেষকগণের শিক্ষা সহায়ক বিভিন্নমূখী কার্যক্রমের সচিত্র প্রতিবেদন, আবিষ্কার ও বিভিন্ন মাত্রিক অর্জন।

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের আন্তরিক সদিচ্ছায় এ সেন্টারকে ইতোমধ্যেই “সুফি মিজানুর রহমান ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ”-এ উন্নীত করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটটি থেকে প্রতি বছর অনুষদভিত্তিক একটি করে জার্নাল প্রকাশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ইনস্টিটিউট থেকে জ্ঞান-গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশ ও অনুবাদের প্ররিকল্পনা-সহ ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্ররিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গুণগতমান নিশ্চিতকরণের জন্য ইউআইটিএস-এ “অভ্যন্তরীণ গুণগতমান নিশ্চিতকরণ সেল” রয়েছে। সেলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাসহ সার্বিক মান নিশ্চিতকরণে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সকল প্রকার ড্রাগ, ইভটিজিং, সন্ত্রাস ও নকল মুক্ত রাখা হয়েছে। রয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতির উপর একটি আন্তর্জাতিকমানের সমৃদ্ধ নীতিমালা। ইউআইটিএস, পরীক্ষা পদ্ধতির স্বচ্ছতার জন্য মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম কর্তৃক শ্রেষ্ঠ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজ বাড়াতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ইইই ক্লাব, সিএসই ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, সিভিল ক্লাব। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির কার্যক্রম। কেন্দ্রীয় ও বিভাগভিত্তিক আয়োজন করা হয়ে থাকে শিক্ষাসফর, বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে উৎসবসহ নানা অনুষ্ঠানের। শিক্ষার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়ে ইউআইটিএস তার লক্ষ্যপানে এগিয়ে চলেছে অবিরাম। প্রত্যাশা, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় ইউআইটিএস একদিন বিশ্বমানের উন্নত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার তরুণী বদলগাছীতে, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
মুন্সীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর  
চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রাপচাপায় ৩ জন নিহত
ক্যাসিনোকাণ্ড অভিযানের নেপথ্য কাহিনী জানলে চমকে যাবেন আপনিও
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা