নজর কাড়ছে ৩৫ মণের ‘বড় সাহেব’

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
| আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২১, ১৪:৪১ | প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০২১, ১৪:০৩

এবারের কোরবানির ঈদে আকর্ষণীয় দুটি গরু কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ৩৫ মণের গরু বড় সাহেব ও ৩০ মাস্টার সাহেব। প্রবাসী শরীফুজ্জামানের গরুর খামারে পালিত এ গরু দুটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন। গরু দুটি নজর কাড়ছে তাদের।

উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খালেকুজ্জামানের বড় ছেলে শরীফুজ্জামান। প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে এসে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেন গরুর খামার। সেই খামারে রয়েছে ১২টি গরু। এবারের কোরবানি ঈদ উপলক্ষে দুই বছর বয়সের দুটি বাচ্চা গরু কেনেন তিনি। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার ও প্রাকৃতিক ঘাস-খড় খাইয়ে প্রস্তুত করেছেন এদের।

শরীফুজ্জামান জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের সাদাকালো বড় সাহেবের ওজন এক হাজার ৪০০ কেজি। তিনি বড় সাহেবের দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ। আর মাস্টার সাহেবের ওজন এক হাজার ২০০ কেজি। এটির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। কালো রঙের মাস্টার সাহেব সাহিয়াল ও ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের।

বড় সাহেব ও মাস্টার সাহেব দেখতে আসা কাতার প্রবাসী শহিদ মিয়া বলেন, লোকমুখে শুনেছি রসুলপুরে একটি খামারে বড় দুটি গরু কোরবানি ঈদের জন্য লালন-পালন করা হয়েছে। সেটা শুনে দুটি গরু দেখতে আসছি। এতো বড় গরু আর বাস্তবে কখনো দেখেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক এমাদ বলেন, এতো বড় গরু ভৈরবসহ তথা জেলার মধ্য চোখে পড়েনি। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে বড় সাহেব ও মাস্টার সাহেবকে দেখতে ভিড় করছে। এই দুটি গরু বড় শিল্পপতি ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব না।

খামারি শরীফুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে দেশব্যাপী কোরবানির পশুরহাট না বসলে তার দুটি ষাঁড় বিক্রি করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তবে অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে গরু বিক্রির জন্য প্রস্তাব পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

গরু দুটি কিনতে চাইলে খামারে এসে সরাসরি দেখে কেনার জন্য দরদাম করার আহ্বান জানান খামারি শরীফুজ্জামানের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধো মো. খালেকুজ্জামানও।

খামারিরা ধারণা করছে, যদি পশুর হাটের অনুমতি সরকার না দেয় এবং চোরাইপথে গবাদিপশু দেশে আসে তবে তারা মুনাফার পরিবর্তে লোকসানের মুখে পড়বে। তাদের দাবি বিগত তিন বছরের মতো এবারও দেশীয় পশুর মাধ্যমেই কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে।

ভৈরব প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ্য করে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ করেছেন এখানকার কৃষক ও খামারিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দুই হাজার খামারে সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল মোটাতাজা করেছেন তারা। ভৈরবে কোরবানির পশুর চাহিদা আট হাজারের মতো। এবার এখানকার খামারগুলোতে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি পশু অতিরিক্ত আছে। তবে খামারিরা তাদের গরুতে যাতে কোনো রকম স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার ছাড়া দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করে সে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে বর্তমানে কঠোর লকডাউনের কারণে পশু বিক্রিতে বাধা তৈরি হবে।

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :