পাটুরিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আযহা। এ উপলক্ষে পাটুরিয়া ঘাটে আজ মঙ্গলবার ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। ঘাট এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। যানজট এড়াতে ছোট গাড়ি থেকে যাত্রীদের আগেই নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সকাল থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার ঘরমুখো যাত্রী ও যাহবাহনের চাপ বেশি থাকায় কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সারি দীর্ঘ হচ্ছে এবং ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে।

তবে যাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সচেতনতা কম। আর সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফেরি ও লঞ্চে গাদাগাদি করেই পাড় হচ্ছেন সবাই। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গাড়িতে এক সিট ফাঁকা থাকার নির্দেশ থাকলেও তা অনেক বাসেই মানা হচ্ছে না।

ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাবেন তানজিনা। তিনি বলেন, গাবতলী থেকে সেলফি পরিবহনে করে ঘাট এলাকায় এসেছি। তবে গাড়িগুলো সরাসরি ঘাট এলাকায় আসে না। আগেই নামিয়ে দিয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ঘাটে এলাম। বৃষ্টির মধ্যে অনেক কষ্ট হয়েছে। আজ ভেবেছিলাম ঘাটে চাপ থাকবে না।

আমিনুল রহমান নামে আরেকজন বলেন, প্রতি ঈদেই বাড়ি যাওয়ার সময় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। হয় সড়কপথে, না হয় নৌপথে। এর মধ্যে আবার নেমেছে বৃষ্টি। ঘাটে আসার সময়ই পরিবারের সবাই ভিজে গেছি। এখন বৃষ্টি কমলেই ফেরিতে উঠব। কী আর করব, এভাবেই যেতে হবে বাড়িতে। যদি সরকার এখানে একটা সেতু করে দিত তাহলে ২১ জেলার মানুষের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হত না।

বাসচালক আনোয়ার হোসেন জানান, তিন ঘণ্টা ধরে এখানে অপেক্ষা করছি। দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। কখন পার হতে পারবো বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে বৃষ্টির কারণেই এমন ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। সবগুলো ঘাটই সচল রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি যানবাহন, দূরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/পিএল)