নির্যাতনে মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ: মামলা নেয়নি পুলিশ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০২১, ১৯:৪১

পটুয়াখালীর বাউফলে আরাফাত হোসেন (৮) নামে সেই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিশুর বাবা হাসান প্যাদা। নির্যাতন করে গুরুতর আহত করা হয় এবং এর দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার বিকালে এমন অভিযোগ করেছেন ওই শিশুটির বাবা হাসান প্যাদা। তার বাড়ি বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্ধি গ্রামে।

আরাফাত ছিল একই ইউনিয়নের কাশিপুর আল ইয়াছিন শিশু সদন হাফিজিয়া মাদ্রাসার নজরানা বিভাগের ছাত্র নয় মাস আগে ওই মাদ্রাসায় আরাফাতকে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বাবা হাসান প্যাদা অভিযোগ করেছেন, পড়া মুখস্থ না হওয়ায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিকিরউল্লাহ রবিবার দুপুর দুইটার দিকে তার একমাত্র সন্তান আরাফাতকে ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে আরাফাতের মাথার হাড় ভেঙে যায়। কিন্তু বিষয়টি তাদের না জানিয়ে তিনি (জিকিরউল্লাহ) তার ছোট ভাই মো. কাওছারের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেন। পরদিন সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে তাদের মুঠোফোনে জানানো হয় আরাফাত ডান চোখের ব্যথায় অসুস্থ।

তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনি আরাফাতকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে সে মারা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার রাত ১১টার দিকে আরাফাতের লাশ বাউফলের গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

হাসান প্যাদা আরও অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনায় শনিবার শিক্ষক জিকিরউল্লাহ ও তার ভাই কাওছারের বিরুদ্ধে মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই রবিবার পটুয়াখালী আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।

আরাফাতের দাদা নুর হোসেন প্যাদা বলেন, নির্যাতনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আরাফাত সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নিচে নামার সময় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে বলে প্রচার করেছিলেন শিক্ষক জিকিরউল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, যদি সিঁড়ি দিয়েই পড়ে থাকে তাহলে ঘটনার সময় না জানিয়ে একদিন পর তাদের জানানো হলো কেন? তিনি (জিকিরউল্লাহ) যদি অপরাধী না হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি পালাবেন কেন?

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘মাদ্রাসা থেকে জানানো হয়েছে, আরাফাত সিঁড়ি থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিল। পরে সে মারা যায়। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মামলা হবে। কিন্তু তিনি (আরাফাতের বাবা হাসান প্যাদা) তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে এজাহার সংশোধন করে আনার জন্য বলা হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :