ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৩:২২
অ- অ+

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া তার মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান। তারা বলেন, মওলানা ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি তিনি দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। মানব মুক্তির আদর্শ থেকে তিনি এক দিনের জন্যও বিচ্যুত হননি বা অবসর খোঁজেন নাই। জীবনের প্রায় প্রতিটি বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন তিনি আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির মধ্যেই থেকেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘকালব্যপী ও ধারাবাহিকভাবে কেউ সক্রিয় আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির ভেতর থেকেছেন এমন ব্যাক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।

দুই নেতা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্নের বিজ বপন করেছিল। মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। আমাদের চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।

তারা আরও বলেন, আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চির বিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতা পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীণ বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে তিনি আছেন।

ন্যাপ নেতারা বলেন, আজকের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক পিতা ছিলেন তিনি। মওলানা ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে আগামী ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

এদিকে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের উদ্যোগে দুই দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচিগুলো হলো: ১৫ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ১৭ নভেম্বর, বুধবার সকালে মজলুম জননেতা সন্তোষের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ, ভোরে রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া অনুষ্ঠান।

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/বিইউ/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যশোরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেলচালক নিহত 
মির্জাপুরে জুলাই অভ্যুত্থানে দুচোখ হারানো হিমেল পেল সাড়ে ৩ লাখ টাকা
মানিকগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে: লায়ন ফারুক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা