গোপালগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস আজ

আজ ৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ। গোপালগঞ্জকে মুক্ত করতে দীর্ঘ নয় মাস জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন হাজারও মুক্তিগামী বাঙালী। গণ-কবরসহ পাকিস্তানি বাহিনী ও দোশরদের অত্যাচারের চিহ্ন আজও রয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে।
জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় কাগজ কলমে শহীদ হয় ৭৫ জন এবং যুদ্ধে আহত হয় ৫৬ জন।
এবার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া নাম না জানা রয়েছে আরও অনেকে। ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিক থেকেই পাকসেনা ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে থাকে।
হানাদার বাহিনী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন মিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন তৎকালিন সিও অফিসে।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন ফয়েজ ও মেজর সেলিম এর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে ক্যাম্পের পাশে হাত পাঁ বেধে জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতো।
আর নারীদের নির্যাতন শেষে হত্যা করে পাশের পুকুরে ফেলে রাখা হত। বর্তমানে বদ্ধভূমি হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের জখন চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে তখন ৭ ডিসেম্বর ভোরের মধ্যে এই ক্যাম্প ছেড়ে একটি দল ঢাকা ও অন্য একটি দল কাশিয়ানীর ভাটিয়া পাড়া ওয়ারলেস ক্যাম্পে পালিয়ে যায়।
৭ ডিসেম্বর সূর্য ওঠার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ব্যবহার রাইফেল ও বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা হাতে নিয়ে শহরে প্রবেশ করে।
পাক বাহিনী পালিয়ে গেছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে এসে মাতোয়ারা হয়ে উল্লাস করতে থাকেন।
পাক হানাদার বাহিনী চলে যাওয়ার পর বধ্য ভূমিতে পাওয়া গেছে নারীদের শাঁখা, চুড়ি, চুল, জামা কাপড়।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে বধ্য ভূমিতে ৭ ডিসেম্বর সকালে পুস্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।
বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী সকল রাজাকারদের বিচার সরকার দ্রুত কার্যকর করবে এমনটাই দাবি গোপালগঞ্জবাসীর।
(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এসএ)

মন্তব্য করুন