বাপ্পারাজ হারলেও পূরণ হয়েছে তার যে চাওয়া

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৩০| আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৪৭
অ- অ+

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দাঁড়িয়েছিলেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ। কিন্তু জিততে পারেননি নায়ক রাজ রাজ্জাক-পুত্র। তাকে মাত্র ১১৭ ভোট দিয়েছেন শিল্পীরা। তার প্যানেল থেকে একই পদে হেরেছেন নায়ক আসিফ ইকবাল, সাংকোপাঞ্জা, নাদির খান এবং হাসান জাহাঙ্গীরও।

তবে বাপ্পারাজ হারলেও পূরণ হয়েছে তার একটি চাওয়া। ভোটের কয়েক দিন আগে একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সেই চাওয়ার কথা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কী চেয়েছিলেন অভিনেতা? তিনি চেয়েছিলেন, মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করলেও সভাপতি পদে জয়ী হোক ইলিয়াস কাঞ্চন। বাপ্পারাজের সেই চাওয়াটি পূরণ হয়েছে। মিশা সওদাগরকে হারিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

কিন্তু নিজের প্যানেলের প্রার্থী মিশা সওদাগরের জয় কামনা না করে বিপক্ষ প্যানেলের ইলিয়াস কাঞ্চনের জয় কেন চেয়েছিলেন বাপ্পারাজ? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান কমিটিতে যারা আছেন, তাদের নিজেদের কোনো ইজ্জত নেই, অন্য কাউকেও তারা ইজ্জত-সম্মান দিতে জানে না। এ ধরনের লোকের সামনে গিয়ে নিজের ইজ্জত খোয়ানোর কোনো মানে হয় না! এই ইজ্জত কামাতে আমার ৩৫ বছর লেগেছে। এ জন্যই ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবকে দরকার। যার ইজ্জত আছে, যিনি অন্যকে ইজ্জত দিতে পারেন, তাকেই তো দরকার। শিল্পীদের ইজ্জত-সম্মান ফেরাতে ইলিয়াস কাঞ্চনকেই সভাপতি করা দরকার।’

শিল্পী সমিতির গত দুই মেয়াদের সভাপতি খল অভিনেতা মিশা সওদাগরের আর এই পদে থাকার কোনো অধিকারই নেই বলেও উল্লেখ করেছিলেন বাপ্পারাজ। তিনি বলেন, ‘খামোখা জায়েদ খান জোর করে মিশাকে বানিয়েছেন। চান্সেও মিশা হয়ে গেছে। মিশার তো সভাপতি হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। সভাপতি হতে তো মিনিমাম কিছু যোগ্যতা লাগে, স্ট্যান্ডার্ড লাগে। জায়েদ খানও এখন ব্যাপারটা বুঝছে।’

তবে নিজ প্যানেল থেকে মিশা সওদাগরকে সভাপতি না চাইলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানকেই পছন্দ ছিল বাপ্পারাজের। বলেছিলেন, ‘জায়েদ খান কিছু করুক না করুক, প্রতি সপ্তাহে অন্তত দোয়া মাহফিল করেছে। মারা যাওয়া সিনিয়র শিল্পীদের নানাভাবে স্মরণ করছে। ব্যক্তিগতভাবে সে কী করছে না করছে, তা আমার জানার দরকার নেই। তাই আমি চাই, ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি এবং জায়েদ সাধারণ সম্পাদক হোক।’

বাপ্পারাজের এই চাওয়াটাও পূরণ হয়েছে। এবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন জায়েদ খান। তিনি হারিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের নিপুণ আক্তারকে। এবারের নির্বাচনে জায়েদ পেয়েছেন ১৭৬ ভোট এবং নিপুণ পেয়েছেন ১৬৩ ভোট। তাই নিজে হারলেও দুটি চাওয়া পূরণ হওয়ায় খুশি এই অভিনেতা।

এদিকে, এবার হারলেও গত মেয়াদের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী হয়েছিলেন বাপ্পারাজ। ভোট পেয়েছিলেন ৩০১টি। এবার পেয়েছেন ১১৭টি। এছাড়া এবার তিনি ভোট উপলক্ষে এফডিসিতেই যাননি। ভোটও দেননি।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বাপ্পারাজ বলেছেন, ‘আমি তো নিজ থেকে ভোটেই দাঁড়াইনি। নমিনেশন ফরমও নিজ থেকে তুলিনি। জায়েদ খান এসে আমাকে বলেছিল, ‘না ভাইয়া, আপনি থাকেন।’ একরকম জোর করেই আমার কাছ থেকে নমিনেশন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। গতবারও সে এসে একই কাজ করেছিল। আমার কোনো আগ্রহ নেই এসবে।’

প্রশ্ন করা সুরে বাপ্পারাজ বলেন, ‘এই নির্বাচনে কোনো অনুষ্ঠানে দেখেছেন আমাকে? আমি কারও কাছে ভোটও চাইনি। এবার যে ১১৭টি ভোট পেয়েছি, তা নিঃস্বার্থভাবেই পেয়েছি। ভোটারদের পিওর ভালোবাসা থেকে পেয়েছি। আমি কারও কাছে ফোনও করিনি, ভোটও চাইনি। এখন যা হওয়ার হয়েছে। এসব নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’

১৯৮৬ সালে বাবা রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘চাঁপাডাঙার বউ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন বাপ্পারাজ। সেখানে তাকে দেখা যায় চিত্রনায়িকা শাবানার দেবরের চরিত্রে। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বহু দর্শকপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সিনেমা প্রযোজনাও করেছেন। কয়েক বছর ধরে তিনি অভিনয়ে অনিয়মিত। তবে শিল্পী সমিতির নানা কাজে তার অংশগ্রহণ ছিল।

ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/এএইচ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিগারেটের প্যাকেটের দাম সর্বনিম্ন ৯০ টাকা করার দাবি ডর্‌প যুব ফোরামের
ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে নগরভবনে তালা
জামালপুরের মেলান্দহে সুইপার কলোনিতে আগুন, দগ্ধ হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু 
নোয়াখালীতে বন্দুকসহ মাদক কারবারি আটক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা