মেলায় ঢুকেই মাস্ক হাওয়া, গুনতে হলো জরিমানা

সরকারের নির্দেশনা মেনে ঠিকই বইমেলায় মাস্ক পরে ঢুকছেন দর্শনার্থীরা। মূল ফটকে কড়াকড়ির কারণে মাস্ক না পরার উপায়ও নেই। তবে ভেতরে ঢুকতেই কারো মাস্ক পকেটে, কেউ আবার ঝুলিয়ে রাখছেন থুতনিতে! দর্শনার্থীদের পাশাপাশি প্রকাশনীর মালিক থেকে শুরু করে স্টল কর্মী সবারই এক অবস্থা।
নানা অজুহাতে মাস্ক খুলে বইমেলায় আসা এমন অনেককে পড়তে হয়েছে জরিমানার কবলে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক না পরার অপরাধে জরিমানা করেন।
শনিবারের অভিযানে জরিমানার কবলে পড়েছেন একাধিক দম্পতি। প্রকাশনীর মালিকের পাশাপাশি জরিমানা গুনতে হয়েছে স্টলের কর্মীদেরও। ঠান্ডার অজুহাতে মাস্ক না পরা কর্মীকে স্টল থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
দুপুরে মেলার ‘ভ্যালেন্টিনো’ প্রকাশনীতে গিয়ে একমাত্র বিক্রয় প্রতিনিধি মো. বিল্লালের মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চান ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিল্লাল বলেন, তার ঠান্ডার সমস্যা আছে। মুখে মাস্ক পরে থাকলে তিনি শ্বাস নিতে পারেন না।
পরে বিল্লালকে স্টল ছেড়ে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. জায়েদকে ফোন করে অন্য একজনকে বিক্রয় প্রতিনিধিকে স্টলে পাঠানোর জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকা টাইমসকে মনীষা রানী কর্মকার বলেন, মানুষকে সচেতন করতেই এ অভিযান। ছুটির দিন হওয়ায় সন্তানদের নিয়ে বইমেলায় অনেকেই আসছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বইমেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরেই ঢুকছেন। তবে ভেতরে ঢোকার পরে কেউ কেউ মাস্ক খুলে পকেটে রাখছেন।
শনিবার তিন হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জরিমানা বা অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হলে পরিবেশ সুন্দর রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমানো যায়। তবে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত নজরে পড়লে দ্রুত মাস্ক পরতে দেখা যায় অনেককে। কিন্তু অভিযান শেষে অভিযানস্থলে গিয়ে দেখা যায় আগের চিত্র।
বইমেলা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলায় অংশ নিতে হবে দর্শনার্থীদের। আর বই বিক্রেতার জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, টিকা সনদ যাচাইয়ের নির্দেশনা দিয়েছিল মেলা কর্তৃপক্ষ।
মাস্ক না পরে মেলায় ঘোরাঘুরি করা রায়হান হোসেন ও নাফিসা তারান্নুমকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলা প্রকাশ প্রকাশনীর দশজন বিক্রয় কর্মীর মধ্যে তিনজনের মুখে দেখতে না পেয়ে কারণ জানতে চান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মুখে মাস্ক না থাকা এক নারী বিক্রেতার কাছে মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি তখন মাস্ক খুঁজতে শুরু করেন।
পকেট থেকে মাস্ক বের করে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বলেন, ‘ছবি তোলার জন্য মাস্ক খুলে রেখেছিলাম।’ অথচ তারা কোনো ছবি তুলছিলেন না।
এ সময় বাংলা প্রকাশের বিপণন ব্যবস্থাপক নূরন্নবী চৌধুরীর মুখেও কোনো মাস্ক ছিল না। স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে বাংলা প্রকাশকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে। ১৩ জানুয়ারি থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হয়। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/বিইউ/জেবি)
সংবাদটি শেয়ার করুন
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি এর সর্বশেষ

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ডিএমপির নতুন কমিশনারকে বঙ্গবন্ধু ললিতকলা একাডেমির অভিনন্দন

নগদ-রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৮ লেখক ও ২১ বই

আমি বন্ধু বলছি

বাঁধা

শাহরিয়ারের মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় সাহিত্য দিবস পালন ইরানের

‘আধুনিক স্থাপত্যধারার চার মহানায়ক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

মায়াবী আঁধার

স্বননের ৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আবৃত্তি অনুষ্ঠান
