উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে হামলা-মামলায় হয়রানি

আব্দুল বাছিত বাচ্চু, মৌলভীবাজার
  প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২২, ১৪:২৩
অ- অ+

দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পল্লীতে বসবাসরত নাগরিকরা নানা হয়রানির শিকার। বছরের বেশির ভাগ সময় হামলা মামলা হয়রানি তাদের নিত্যসঙ্গী। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব নাগরিক থাকেন উচ্ছেদ আতংকে । প্রতিবছর বর্ষায় সামাজিক বনায়ন ও বিভিন্ন ভূমিহীন সমিতির নামে এক শ্রেণির ভূমিখেকো এসব আদিবাসীর দখলীয় জমিজমা থেকে উচ্ছেদ করার নানা পাঁয়তারা করে।

এ নিয়ে হয় হামলা মামলা সংঘর্ষ। নির্যাতিত হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব নাগরিক। এবছরও সামাজিক বনায়নের নামে ডলুছড়া ও নুনছড়া পান পুঞ্জি থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হতে পারে এমন আশংকা করছে এখানে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাগরিকরা।

সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) তৌফিকুল হাদি অবশ্য বলছেন, বন ও পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য সামাজিক বনায়নের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া জুড়ী শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ ও বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী পল্লী। এসব পুঞ্জিতে ২৫ হাজারের বেশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনসাধারণের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি। নারী প্রধান এই জনগোষ্ঠীর একেএকটা পুঞ্জির প্রধান (হেডম্যান)-কে আবার মন্ত্রী ডাকা হয়।

কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়াইছড়া পুঞ্জিতে বসবাসকারী আদিবাসী নেত্রী বাবলী তালাঙ ঢাকা টাইমসকে বলেন, মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকায় আমাদের বসবাস কয়েকশ বছরের। এই এলাকার জমিদার নওয়াব আলী আমজাদ খান এবং উনার বংশদরদের কাছ থেকে আমরা টুকা ফারাগের মাধ্যমে এসব জমি নিয়ে বসবাস ও পান চাষ করে জীবিকা রক্ষা করে আসছি। কিন্তু গত ২৫-২৬ বছর যাবত ইকো পার্ক ও সামাজিক বনায়নের নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিরীহ নাগরিকদের হয়রানি করা হয়।

এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেত্রী বলেন, বর্তমানে ডলু ছড়া ও নুন ছড়া (লবনছড়া) পুঞ্জি দখলে এই মহল মরিয়া। অথচ দেশের অনেক বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেলেও এই পাহাড় আমরা অনেক সুরক্ষিত রেখেছি।

বাবলী তালাং অভিযোগ করেন, সামাজিক বনায়নের কমিটিতে এসব জমির দখলীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের রাখা হয় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তৌফিকুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, বন ও পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য সামাজিক বনায়ন বন বিভাগের একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাগরিকদের আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। তবে হ্যাঁ এই কর্মসূচিতে যাতে তাদের সম্পৃক্ত রাখা হয় আমি সংশ্লিষ্টদের বলে দেবো।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এআর/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপির আন্দোলনের মুখে পটিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার
বাংলামোটরে এনসিপির জুলাই চিত্র প্রদর্শনীর গাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
তাড়াশে সম্পত্তি লিখে নিয়ে বাবা-মাকে বাড়িছাড়ার অভিযোগ
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা