জুড়ী আ.লীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বহুগামিতার অভিযোগ স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
| আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২২, ২২:৪১ | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০২২, ২২:৩২

‘মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুক আহমদ একজন বহুগামী। তিনি সবসময় পরনারীর প্রতি আসক্ত।’

কুলাউড়ায় সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী শিরিন আক্তার। রবিবার কুলাউড়া শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে শিরিন আক্তার জানান, তিনি জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাসুক আহমদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। ২০০৩ সালে আগস্ট মাসে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের কিছুদিন পর স্বামীর আসল চরিত্র তার কাছে প্রকাশ পায়। তিনি মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সব সহ্য করেন।

শিরিন লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, বর্তমানে তিনি তার বাবার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামে বসবাস করছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী মাসুক আহমদ একজন বহুগামী পুরুষ। পরনারী লোভী স্বামীর কারণে বাসায় কোনো কাজের মেয়ে থাকতে পারত না। ফুলতলার এক মেয়ের দিকে তার কুদৃষ্টি পড়ে। স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনে ওই মেয়েকে জুড়ীতে একটি বাসায় রেখে দুই মাস অপকর্ম করেন।

বিরইনতলা গ্রামের দুই সন্তানের মা মহিলা গৃহকর্মীর কাজ করত। ওই গৃহকর্মীকে বিয়ে করে তিনি নিজ বাসায় রাখেন। এছাড়া পেশাদার যৌনকর্মী বাসায় এনে নাচ ও মদের আসর এবং বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতেন। এসবের প্রতিবাদ করায় শিরিনের ওপর নেমে আসে নির্যাতন-নিপীড়ন। একদিন নির্যাতনকালে ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানালে জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী তাকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়ি কুলাউড়াতে দিয়ে যান।

শিরিন বলেন, শুধু তাই নয়- মাসুক আহমদ তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করা কাজের মেয়ে মনি বেগমকে বাসা থেকে সরানোর শর্তে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। থানায় এসব অভিযোগে মামলা দিতে গেলে মাসুক আহমদ দলের শীর্ষ নেতা ও প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি।

ফলে ৩০ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিরিন মামলা করেন। আদালত তার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আপস করার শর্তে আদালত প্রথম দফায় জামিন দেন। কিন্তু আদালতের শর্ত ভঙ্গ করায় দ্বিতীয় দফায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও ১১ অক্টোবরের মধ্যে আপস- মীমাংসার শর্তে আদালত ২য় দফায়ও তাকে জামিন দেন।

এদিকে, জামিনে এসে মাসুক আহমদ বিষয়টি আপস না করে জুড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিয়ে অপপ্রচার চালান বলে জানান শিরিন। শিরিন আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিষয়টির নিষ্পতি আশা করেন। নতুবা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুক আহমদ বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে করা শিরিনের অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

(ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :