প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার আমল

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ১০:৫৪ | প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৫৪

মহান আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি এক-অদ্বিতীয়, অনাদি, অনন্ত, চিরস্থায়ী ও চিরঞ্জীব। তিনিই আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা, আইনদাতা, বিধানদাতা। আল্লাহতায়ালা মানুষ ও জিনজাতিকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। আল্লাহতায়ালা বলেন, মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির মত শুকনো মাটি থেকে এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? (সুরা আর-রাহমান : ১৪-১৬)

মহান আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম সেরা সৃষ্টি হলো মানবজাতি। মানবজাতির সৃষ্টির পূর্বে এবং পরে আরো অনেক কিছুর সূচনা করেন মহান আল্লাহতায়ালা। জিনজাতি, মানবজাতি, পশু-পাখি, উদ্ভিদ ইত্যাদি সবকিছুর বিচরণ এই পৃথিবীর পিঠের ওপর। পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসের যেমন বন্ধু রয়েছে তেমনি শত্রুও রয়েছে। এই পৃথিবীতে মানুষের শত্রুদের প্রসঙ্গে কথা বলা হলে প্রথম যার নাম উঠে আসবে সে হলো অভিশপ্ত শয়তান (ইবলিস)।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-১৬৮, ২০৮; সুরা আনআম, আয়াত-১১২; সুরা ইউসুফ, আয়াত-০৫; সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত- ৫৩; সুরা ফাত্বির, আয়াত-০৬; সুরা ইয়াসীন, আয়াত-৬০; সুরা যুখরুফ, আয়াত- ৬২)

শয়তান শব্দটির মধ্যে বিদ্রোহ, অবাধ্যতা, উচ্ছৃঙ্খলতা, পথভ্রষ্টতা, অন্যায় ও অসৎ কাজে নিবেদিত হওয়ার অর্থ রয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্য জিন ও মানুষ উভয়ের মধ্যে থাকতে পারে। জিন জাতির মধ্যে এসব দোষ থাকলে যেমন তার নাম হয় শয়তান, তেমনি মানুষের মধ্যে থাকলেও তার নাম শয়তান হবে।

কাতাদা (রহ.) বলেন, ‘জিন ও মানুষের মধ্যে শয়তান রয়েছে। তারা একে অন্যের কাছে মিথ্যা ও কল্পিত কথা প্রচার করে, একে অন্যকে খোদাদ্রোহিতা, ভ্রষ্টতা ও পাপাচারে উদ্বুদ্ধ করে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)

পবিত্র কোরআনে ‘শয়তান’ (একবচন) শব্দটি ৬৩ বার আর ‘শায়াতিন’ (বহুবচন) শব্দটি ১৮ বার উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবীতে শয়তান মুমিনের প্রধান শত্রু। কোরআনের অসংখ্য স্থানে মহান আল্লাহ শয়তান সম্পর্কে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৬৮) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২০৮)

শয়তান (ইবলিস) মূলত একটা জিন। সে ছিল একসময় ধার্মিক, ধূর্ত ও বুদ্ধিসম্পন্ন। এমনকি সে জিনজাতির একটা অংশ হওয়া সত্ত্বেও তার বসবাসও ছিল এক সময় ফেরেশতাদের সঙ্গে। যদিও তার ধার্মিকতা আর জ্ঞান-বুদ্ধির অন্তরালে ছিল অহঙ্কার এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা যার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল আদম (আ.)-কে সিজদাহ করার ঘটনার মধ্য দিয়ে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। তখন তারা সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহঙ্কার করল। আর সে হলো কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা আল-বাকারা, আয়াত-৩৪; সুরা সোয়াদ, আয়াত-৭৩,৭৪; সুরা আল-আরাফ, আয়াত- ১১; সুরা হিজর, আয়াত-৩১; সুরা বনী ইসরাঈইল, আয়াত-৬১; সুরা কাহফ, আয়াত- ৫০; সুরা ত্বহা, আয়াত-১১৬)

যারা আল্লাহর স্মরণ ও ইবাদত থেকে গাফিল, তাদের পেছনে শয়তান লেগে থাকে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর স্মরণে বিমুখ হয়, আমি তার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান। অতঃপর সে হয় তার সহচর। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথ থেকে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে তারা সৎপথে আছে।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৩৬-৩৭)

আল্লাহতায়ালা মানুষের পরীক্ষার জন্য দুনিয়ায় যেমন শয়তান পাঠিয়েছেন, তেমনি মুমিনদের শয়তানের চক্রান্ত থেকে রক্ষার শক্তি দিয়েছেন। নবী-রাসুলদের মাধ্যমে বাতলে দিয়েছেন শয়তান থেকে রক্ষার পথ ও পন্থা। বিষটি স্পষ্ট হয় কোরআনে কারিমের একটি আয়াতের মাধ্যমে। কারণ, শয়তান যখন আল্লাহর কাছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার শর্তারোপ করে, তখন সে নিষ্টাবান বান্দাদের পৃথক করেছে। শয়তানের উক্তি উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘সে বললো, আপনার ইজ্জতের কসম, আমি অবশ্যই তাদের সবাইকে বিভ্রান্ত করে দেবো। তবে তাদের মধ্যে আপনার নিষ্ঠাবান বান্দাদের ছাড়া।’ -সুরা যুমার : ৮২-৮৩ প্রকৃত মুমিনকে শয়তান কখনও বিভ্রান্ত করতে পারবে না। কারণ মুমিনের আমল ও রক্ষাকবচ শয়তানের ফাঁদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের ধোঁকা, প্ররোচণা ও প্রভাব থেকে থেকে বাঁচতে কিছু আমলের কথা উল্লেখ করা হলো।

আল্লাহকে স্মরণ করা

আল্লাহকে স্মরণ করলে শয়তান কাছে আসতে পারে না। আল্লাহর স্মরণ থেকে মানুষ যখন দূরে চলে যায়, তখন শয়তান তাদের বন্ধু হয়। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্য এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। শয়তানরাই মানুষকে সৎ পথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎ পথেই রয়েছে’ (যুখরুফ ৪৩/৩৬-৩৭)।

ঈমান আনা ও আল্লাহর ওপর ভরসা করা

ঈমান আনার সাথে সাথে সৎকাজ করতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। তাহলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকা যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘তার (শয়তানের) কোন আধিপত্য নেই তাদের উপর, যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে’ (নাহল ১৬/৯৯)।

বিসমিল্লাহ পড়া

শয়তান থেকে বাঁচার আরেকটি উপায় হলো- প্রত্যেক কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া। আল্লাহর নামে কাজ শুরু করলে শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ। যে ব্যক্তি শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে আসতে চায়, তার জন্য জরুরি হলো, সে প্রত্যেক কাজ শুরুর পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়বে। হাদিসে শয়তানকে পরাজিত করতে অনেক বিষয়ে বিসমিল্লাহ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাড়িতে বা গৃহে প্রবেশকালে বিসমিল্লাহ বলে প্রবেশ করতে হবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোন ব্যক্তি তার গৃহে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে ও খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান (তার অনুসারীদেরকে) বলে, এই ঘরে তোমাদের জন্য রাত্রি যাপনের কোন সুযোগ নেই এবং খাদ্যও নেই। আর যখন সে আল্লাহর নাম ছাড়া প্রবেশ করে তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত্রি যাপনের জায়গা পেলে। আর যখন সে খাওয়ার সময় আল্লাহকে স্মরণ করে না তখন শয়তান বলে, তোমরা থাকা ও খাওয়া উভয়টির সুযোগ পেলে’।

খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলে ডান হাতে খাবার খেতে হবে। বিসমিল্লাহ না বললে শয়তান সেই খাবারে অংশ নেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শয়তান সেই খাদ্যকে নিজের জন্য হালাল করে নেয়, যাতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা হয় না’।

ইখলাস অবলম্বন করা

শয়তানের চক্রান্ত থেকে রক্ষার প্রধান ও সর্বাধিক শক্তিশালী আমল হলো, ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা। প্রতিটি নেক কাজ শতভাগ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করাই হলো- ইখলাসের সারকথা। যে ব্যক্তি ইখলাসকে নিজের জীবনের সঙ্গী বানাতে পেরেছে, শয়তান তাকে কিছুতেই বিভ্রান্ত করতে পারবে না। ইখলাস দ্বারা কৃত আমল আল্লাহর কাছে গৃহীত হয়, ইখলাসবিহীন আমল অন্তসারশূন্য। তাই ইখলাস শয়তানের চরম শত্রু। কারণ ইখলাসের কাছে সে হার মানতে বাধ্য। তাই শয়তান মানুষের নেক কাজে ইখলাস বিনষ্টের চেষ্টা করে। ইখলাস নষ্ট করতে সক্ষম হলে শয়তানের জন্য সামনে অগ্রসর হওয়া সহজ হয়। নতুবা সে এখানে আটকে যায়। তাই শয়তানের চক্রান্ত থেকে বাঁচতে ইখলাসের দুর্গকে সঙ্গী বানাতে হবে।

কুরআনে কারিম তেলাওয়াত করা

কুরআন আল্লাহর কালাম। কোরআন তেলাওয়াত শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার এক দুর্গ। একাধিক হাদিসে বলা হয়েছে, কোরআন তেলাওয়াত শুনলে শয়তান পলায়ন করে। হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পড়ে, আল্লাহ তার জন্য এক রক্ষাকারী ফেরেশতা নিযুক্ত করেন এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারে না। সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতও শয়তান থেকে সুরক্ষা দানকারী। হজরত নুমান বিন বাশির (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আসমান জমিন সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে মহান আল্লাহ একটি কিতাব লিখেছেন। যে কিতাব থেকে দু’টি আয়াত অবতীর্ণ করে সুরা বাকারা পূর্ণাঙ্গ করেছেন। যে ঘরে তিন রাত এই দুই আয়াত পড়া হবে শয়তান সেই ঘরের নিকবর্তী হয় না।

জিকির করা

কুরআন তেলাওয়াতের ন্যায় বিভিন্ন জিকিরও শয়তান থেকে রক্ষার মাধ্যম। যে ব্যক্তি বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করে শয়তান তার দ্বারস্থ হওয়া কঠিন। যেসব জিকিরের মাধ্যমে শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তম্মধ্যে একটি জিকির হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

রাগ নিয়ন্ত্রণ

রাগ শয়তানের অন্যতম অস্ত্র। রাগ মানুষকে দিয়ে অনেক বড় পাপ ঘটায়। খুন-খারাবি, মারামারি, গালাগালি ও ঝগড়াঝাটিসহ অনেক বড় বড় পাপের পেছনে রাগের ভূমিকা অন্যতম। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মানুষ অনেক পাপ থেকে বেঁচে যায়। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার এক বিরাট মাধ্যম। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ব্যক্তিকে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে বড় বাহাদুর বলেছেন। -সহিহ বোখারি : ৫৬৪৯

তাকওয়া অবলম্বন করা

মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদেরকে যখন শয়তান কুমন্ত্রণা দেয় তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাদের চোখ খুলে যায়।’ -সুরা আরাফ : ২০১

তওবা-ইস্তেগফার

তওবা-ইস্তেগফার একজন মুমিনের বড় গুণ। গোনাহের অভিশাপ থেকে নিজেকে পবিত্র করার হাতিয়ার। মানবীয় দুর্বলতার কারণেই আমরা শিকার হই শয়তানের কুমন্ত্রণার। আর তখন বিভিন্ন গোনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ি। সে গোনাহ থেকে মুক্তির পথই হচ্ছে তওবা ও ইস্তেগফার। তওবার পুরস্কারের কথা আল্লাহ জানিয়েছেন- হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো-বিশুদ্ধ তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের প্রভু তোমাদের পাপগুলো মুছে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নদীসমূহ বয়ে যায়। -সূরা তাহরীম (৬৬) : ৮

তওবার প্রসিদ্ধ দোয়া : আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলায়হি।- অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তওবা করি। এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। (আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩)

শয়তানের বিরুদ্ধাচারণ করা

শয়তান যেসব কাজ ও মাধ্যম দ্বারা মানুষকে কাবু করে, সেগুলোতে তার সঙ্গ না দিয়ে বিরোধিত করলে সে পরাজিত হবে। তাই শয়তান ও তার কর্মের বিরোধিতা করা।

আল্লাহর কাছে দোয়া করা

শয়তান থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে দোয়ার বিকল্প নেই। সব আমলের মূল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা। তাই সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে তিনি যেন আমাদেরকে শয়তান থেকে রক্ষা করেন।

(ঢাকাটাইমস/৪ নভেম্বর/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :