রাজবাড়ীর মহিলা দল নেত্রী স্মৃতির জামিন আপিলে বহাল

রাজবাড়ীর মহিলা দল নেত্রী সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আপিল বিভাগে জামিন বহাল রাখা হয়েছে। এখন তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি কেরেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ। সোনিয়া আক্তার স্মৃতির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে গত ৩১ অক্টোবর স্মৃতিকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি সাহেদ নুর উদদীনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর পর ২ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত তার জামিন স্থগিত করেন। একই সঙ্গে আপিলের বিষয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠায়।

প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে গত ৪ অক্টোবর রাজবাড়ীতে নিজ বাসা থেকে সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর ১০ অক্টোবর রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতে সোনিয়া আক্তারের জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক কায়ছুন নাহার সুরমা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তারকৃত সোনিয়া আক্তার স্মৃতি স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের সদস্য। তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকার প্রবাসী মো. খোকনের স্ত্রী। মহিলা দলের এই নেত্রী নিজের ফেসবুক আইডিতে বিভিন্ন সময় সরকারের বিপক্ষে লেখালেখি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সামসুল আরেফিন চৌধুরী ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রাজবাড়ী সদর থানায় দণ্ডবিধি ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা নেয় পুলিশ।

মামলা হওয়ার প্রায় এক মাস আগে সোনিয়া ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ওই পোস্ট দিয়েছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট সোনিয়া আক্তার তার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে ‘আপত্তিকর’ কথা লেখেন। পোস্টটিতে প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ণ ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/এফএ)