আজ আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডে উঠছে বাংলাদেশের ঋণপ্রস্তাব

বাংলাদেশের সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাবের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল—আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডে উঠছে আজ। সভায় বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণপ্রস্তাবটি অনুমোদিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইএমএফের পর্ষদে বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন হলে সংস্থাটি ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৬ কোটি ডলার আগামী মার্চে আসবে। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখে পরের প্রতিটি কিস্তি ছাড়বে আইএমএফ।
জানা যায়, আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য সভার এজেন্ডাভুক্ত রয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে আইএমএফ কার্যালয় থেকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে আইএমএফের ডিএমডি অ্যান্তইনেত এম সায়েহ ঢাকা সফর করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করেন। প্রতিবেদনটি বোর্ডে উপস্থাপন করা হবে। এতে বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, ঋণ দেওয়ার শর্তের বিপরীতে বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যতে কোন কোন শর্ত বাস্তবায়ন করতে হবে, তা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি আইএমএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসে এবং জীবনমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।’
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এখন বৈশ্বিক ধাক্কার প্রভাব মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই ধাক্কাগুলোর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি দেশটির এই ধাক্কা সামলানোর নানা আয়োজনকে স্বাগত জানাই।’
বাজেট সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নে আইএমএফের সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে আইএমএফের অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছিল।
প্রসঙ্গত, দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলার জন্য গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে চিঠি দেয়। এর আলোকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর আইএমএফ বাংলাদেশে আসে। তারা ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করে ঋণবিষয়ক আলোচনা করে শর্তের বিষয়গুলোর কাঠামো তৈরি করে। এরপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করার জন্য সংস্থাটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত এম সায়েহ ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন। তিনি ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করেন।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করে ঋণ আলোচনাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসেন। ইতোমধ্যে আইএমএফের ঋণ পেতে প্রাম্ভিক প্রধান শর্তগুলো সরকার বাস্তবায়ন করেছে। তাদের শর্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে ভর্তুকি কমাতে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম আরও এক দফা বাড়ানো হতে পারে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের নিট হিসাব প্রকাশ ও সংস্কারের বিষয়ে দেওয়া শর্তগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/কেআর/এফএ)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অর্থনীতি এর সর্বশেষ

সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড এমডির জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার

রোমে ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে জনতা ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংকের ইফতার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠানো রেমিটেন্স তোলা যাবে বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে

আপাতত জ্বালানির দাম কমছে না: সালমান এফ রহমান

কমছে না জ্বালানি তেলের দাম

মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ঘরভর্তি পণ্য ফ্রি পেলেন চুয়াডাঙ্গার কৃষক ছানোয়ার

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ

খুদে শিক্ষার্থীদের মনন বিকাশে সনি-স্মার্টের ব্যতিক্রমী আয়োজন
