আ.লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে গণতন্ত্র নেই: জিএম কাদের

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫২

আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকার কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রথম কথা ছিল বৈষম্য দূর করা। কিন্তু দেশে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে সেই বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। সরকারি দলের লোকজন বিভিন্নভাবে ধনী হচ্ছেন এবং বাকি লোকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন।'

শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জামির্ত্তা এলাকায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নানের বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দেশে এখন দুর্নীতি ছাড়া কিছু নেই। রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন দুর্নীতি। আমরা দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে রাজনীতি করছি। এখন দুষ্টের দমন, শিষ্টের লালনের পরিবর্তে শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালন চলছে। নির্বাচনের মাধ্যমে শুধু মানুষের মুখ পরিবর্তন হলে দেশের ভাগ্য ফিরবে না। যদি মানুষের মুখের পরিবর্তন হয়, আর চাঁদাবাজি, দলবাজি, দুর্নীতি ও দুঃশাসন চলতেই থাকে, তাতে দেশের মানুষের কোনো উপকার হবে না।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, 'দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের জোরালো ভূমিকা লক্ষ্য করি না। বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ বিভিন্ন কারণে দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত মানুষও এখন ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিতে হচ্ছে। তাদের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ডলারের দামের অবমূল্যায়ন হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। অনেকের আয় কমে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে।'

বক্তব্যে জিএম কাদের জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের প্রশংসা ও পরবর্তী সরকারগুলোর সমালোচনা করেন। বলেন, 'জাতীয় পার্টি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এর একটি বৈশিষ্ট্য এবং অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। ১৯৯০ এর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে আমরা প্রায় নয় বছর দেশ পরিচালনা করেছি। তখন দেশে সুশাসন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ছিল। পরবর্তীতে এসবের আর উন্নতি হয়নি বরং দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরবর্তী সরকারগুলো গণতন্ত্র রক্ষা করেনি। ধীরে ধীরে এ দেশকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে গেছে। এখন দেশ পুরোপুরি একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।’

জিএম কাদের আরও বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঠিক করছি এবং সেভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেব। জাতীয়পার্টি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। আমাদের আমাদের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় আমাদের সমর্থক ও সংগঠন আছে। আমরা সেগুলো কে সামনে রেখে প্রার্থী দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি।'

এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের স্ত্রী শেরীফা কাদের এমপি, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম আব্দুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি হুসেইন মকবুল, সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: ঢাকা দক্ষিণের আ.লীগ নেতা রিয়াজকে ফের শোকজ

যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ

সরকার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দমনপীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে: মির্জা ফখরুল

শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আ.লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের

পথচারীদের মাঝে তৃতীয় দিনের মতো পানি ও স্যালাইন বিতরণ জাপার

মুক্তি দেওয়া হচ্ছে হেফাজতের মামুনুল হককে, আভাস দিলেন নেতারা

গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী 

উপজেলা নির্বাচন এখন উপজ্বালায় পরিণত হয়েছে: সালাম

তীব্র তাপপ্রবাহে জাপার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করবে জনগণ: প্রিন্স

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :