কেন্দুয়ায় খিরার বাম্পার ফলনেও হতাশ কৃষকরা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো না পাওয়ায় হতাশ কৃষকরা। খিরা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খিরা চাষ বেড়েছে। নতুন করে খিরা চাষে যুক্ত হয়েছেন অনেক চাষি। কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর গ্রামের রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার জমিতে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে।

একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন, ফজলু মিয়াসহ অন্য চাষিরাও খিরা চাষে মনোযোগী হয়েছেন। কারণ বাজারে খিরার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকাররা আগ্রহের সঙ্গে খিরা ক্রয় করছেন। মোজাফফরপুরের মতো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে খিরার চাষ। এর মধ্যে উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওরে খিরার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি।

চাষি কাজল মিয়া জানান, এবার খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম গত বছরের চেয়ে কম। বর্তমানে প্রতি কেজি খিরার পাইকারি দাম উঠেছে ১০ থেকে ১২টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। প্রতি সপ্তাহে তিনি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকার খিরা বিক্রি করছেন।

ছয়দুন গ্রামের ছলিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারে অভাব দেখা দিলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেন তিনি। এ বছর খিরা চাষ করেছেন ২০ শতাংশ জমিতে। চাষে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ক্ষেত থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে। এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলবে খিরা তোলা। প্রতি মাসে তিন থেকে চারবার খিরা তোলেন তিনি। তবে দাম এখন একটু বেশি থাকলেও মার্চের পর দাম কমে যাবে। তবে সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিয়ে এবার তার খিরা থেকে আয় গত বছরের চেয়ে কম হবে।

খিরা ব্যবসায়ী আলম জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন হাইব্রিড খিরা পাওয়া গেলেও কেন্দুয়ার নদীর ধারের জমিতে দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। এখানকার খিরায় স্বাদ রয়েছে। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি।

কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম শাহজাহান কবীর বলেন, এবার উপজেলার ৮০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ফলন বেশি হলেও দাম কম হওয়ায় কৃষকের লাভ খুব একটা হবে না। তবে স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বাড়ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এসএ)