‘স্বাধীনতাবিরোধী চক্র গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ২২:১৮ | প্রকাশিত : ১৩ মার্চ ২০২৩, ২১:৪৪

স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিপন্ন করার নানা অপতৎপরতা ঘটিয়ে চলেছে।

সোমবার বিকেলে রাজশাহী নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) মেয়রের উদ্যোগে ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী মহানগরীর শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট নাগরিক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী ও নারীনেত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে ‘অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শামসুদ্দিন খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর শামসুল আলম (বীর প্রতীক) প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির নেতৃত্ব ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমন অবস্থায় স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত সংর্ঘষ ও রেল লাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। পরবর্তীতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সেক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে।

সভায় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটা জীবন শ্রম, সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষা, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, কিন্ত তিনি তার নীতি-আদর্শে আপোস করেননি। বঙ্গবন্ধুর সেই অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টায় লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই অপশক্তির অতৎপরতাকে রুখে দিতে হবে।

খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, বিএনপি বলছে, ‘তারা আওয়ামী লীগের সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না, নির্বাচন হতে দেবে না’। তাদের এই কথার মধ্যে যে নাশকতার মতলব ছিল, সেটি আমরা দেখতে পাচ্ছি। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। রাজশাহীতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনগুলোকে আরো সুসংগঠিত করা হবে। যাতে যখনই প্রয়োজন হবে, আমরা সবাই একসাথে ঝাপিয়ে পড়তে পারি। আগামীতেও এই ধরনের সভা অব্যাহতভাবে আয়োজন করা হবে।

রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির শিকড় অনেক গভীরে। তাদের মধ্যে জামাত-শিবির ঢুকে পড়ে। তাদেরকে হালকাভাবে নিলে হবে না। তাদের ব্যাপারে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দূর সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে।

রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ধর্মীয় বিভাজন ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে লাভবান হয় তৃতীয় পক্ষ। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদেরকে প্রতিহতের কাজ এখনই শুরু করতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক বলেন, প্রকৃত ধার্মিক মানুষ কখনো সাম্প্রদায়িক হয় না। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকে। কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষেরা নিজেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি। আমাদের বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না। আমাদের সকলকে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে চাঙা করতে হবে। পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক চর্চাকে উৎসাহিত করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের আয়োজন বইমেলাসহ সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :