চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ।
শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি আরবে ওমরা শেষে দেশে ফিরছিলেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর মাহিকে জিএমপি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার গাজীপুরের বাসন থানায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এরমধ্যে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং অন্যটি হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী এই মামলাটি করেছেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ। সেটিতে শুধু মাহি-রাকিব দম্পতির নাম রয়েছে।
দুই মামলার এজাহারে যা আছে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে মাহিয়া মাহি ও রাকিব সরকার ফেসবুকের মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য অভিযুক্তরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ উত্তর, অফিসার ইনচার্জ বাসন থানাসহ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের অপমান ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, আক্রমণাত্মক, কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করে। যেখানে এক নম্বর আসামি রাকিব সরকার এবং দুই নম্বর আসামি মাহিয়া মাহি সরকার এই কাজ করেছেন। মামলাটি করেছেন বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ রোকন মিয়া।
এদিকে মো. ইসমাইল হোসেনের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গাজীপুর বাসন থানার দিঘিরচালার ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে তার (ইসমাইল) রড বাইন্ডিং কারখানা রয়েছে। দীর্ঘদিন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু তারা চাঁদা না পেয়ে শুক্রবার সৌদি আরবে থাকা রাকিব সরকার ও মাহিয়া মাহির নির্দেশে প্রায় অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা করে। এতে তিন লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আমি আহত হয়েছি। মামলায় ইসমাইল ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করেছেন। সেখানে ২৫ নম্বর আসামি রাকিব সরকার এবং ২৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে মাহিয়া মাহিকে।
অন্যদিকে মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকার গাজীপুরে যুবলীগের রাজনীতি করেন। তার বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এআর)
সংবাদটি শেয়ার করুন
অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

শিশুটিকে ইকবাল রোড থেকে মুখ চেপে সিএনজিতে তুলে নেয় ধর্ষকরা

রাজধানীতে মদসহ ২ চোরাকারবারি আটক

রাজধানীতে র্যাবের কিশোর সোর্স ছুরিকাহত

নজরদারিতে আরাভঘনিষ্ঠ এক ডজন তারকা

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা: আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্য

আরাভ খান দুবাইয়ে আটক?

কেরাণীগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

নির্বাচনী বছরে দুদক চোখ কান খোলা রাখবে: চেয়ারম্যান

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে ২৬ জন আটক
